রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্যালেস্টাইনের সমর্থনে মিছিল আমেরিকা-জুড়ে

ইজ়রায়েল হামাস যুদ্ধের শুরু থেকেই ইজ়রায়েল বিরোধী এবং প্যালেস্টাইনের সমর্থনে আন্দোলন করেছেন আমেরিকার নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।

প্যালেস্টাইনের সমর্থনে তীব্র আন্দোলনে নামলেন আমেরিকার একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। নেতৃত্বে নিউ ইয়র্ক, ইয়েল এবং কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। বিক্ষোভ ঠেকাতে কোথাও ক্লাসে আসতে বারণ করা হল পড়ুয়াদের। কোথাও গ্রেফতার করা হল শতাধিক পড়ুয়া-আন্দোলনকারীকে। প্রতিবাদে একাধিক ক্যাম্পাসে ক্লাস বয়কটও করলেন শিক্ষকেরা।

ইজ়রায়েল হামাস যুদ্ধের শুরু থেকেই ইজ়রায়েল বিরোধী এবং প্যালেস্টাইনের সমর্থনে আন্দোলন করেছেন আমেরিকার নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। এ দিন হার্ভার্ডের মেমোরিয়াল চার্চ থেকে ‘সলিডারিটি ওয়াকআউটের’ আয়োজন করেছিলেন কিছু পড়ুয়া। বিক্ষোভে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু শিক্ষকও। এ ছাড়া, নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বহু পড়ুয়া প্রতিবাদ মিছিল ও অনশন করেন। তাঁদের হাতে ছিল ‘এখনই বিপ্লব’ লেখা পোস্টার। বিক্ষোভকারীদের পুলিশ থামাতে এলে স্লোগান ওঠে, ‘আমরা থামব না’। প্রতিবাদ মিছিলে পিছিয়ে ছিলেন না বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও।

প্রথমে সতর্ক করলেও পরে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের গ্রেফতার করতে শুরু করে পুলিশ। সোমবার রাত পর্যন্ত ইয়েল এবং নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেড়শোরও বেশি পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ আটকাতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ক্লাস। সিমেস্টারের যে কয়েকটি ক্লাস বাকি রয়েছে, সেগুলি অনলাইনে করা হবে বলে জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। ইয়েলে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অনশনরত পড়ুয়াদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পড়ুয়াদের দাবি, সব ধরনের প্রতিবাদ মিছিলই ছিল ‘শান্তিপূর্ণ’। ইতিমধ্যেই বিক্ষোভের বহু ছবি ও ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। তাতে দেখা গিয়েছে, কোথাও আন্দোলনরত পড়ুয়াদের তাঁবু উল্টে দিয়েছে পুলিশ। কোথাও পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়েছেন পড়ুয়ারা।

ইয়েল-কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এই প্রতিবাদ অনেককেই মনে করিয়ে দিচ্ছে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময়ে আমেরিকার পড়ুয়াদের প্রতিবাদের কথা। ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে পথে নেমেছিলেন পড়ুয়ারা। পরে তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ। ইজ়রায়েলি সেনার গণহত্যা ও আমেরিকার ভূমিকার নিন্দা করে প্যালেস্টাইনের সমর্থনে পড়ুয়াদের পথে নামা যেন সেই ছবিই ফের তুলে আনল পাঁচ দশক পরে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ