রবিবার, ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কুয়াকাটায় উচ্ছেদের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ, শত শত মানুুষের বিক্ষোভ

কুয়াকাটায় পাউবো’র চলমান উচ্ছেদের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শত শত মানুষ। শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় সড়ক অবরোধ করে তারা এ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। আগে পুর্নবাসন, পরে উচ্ছেদ এমন দাবীতে এ বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে পউবো’র জায়গায় বসবাসকারী মানুষ। পরে দুপুর ১২ টার দিকে পুনর্বাসনের আশ্বাসে নিজ নিজ বসতঘর ফিরে যান বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, তারা ৫০-৬০ বছর ধরে বেড়িবাধেঁর বাহিরে বসবাস করে আসছে। হঠাৎ করে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদের সিদ্ধান্তে তাদেরবাড়িঘর সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। কোন প্রকার আগাম নোটিশ না দিয়ে উচ্ছেদের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে বাধ্য হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবী পুণর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করলে তারা বাড়িঘর নিয়ে কোথায় গিয়ে থাকবেন। তাই পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ করলে
তারা সর্বোচ্চ প্রতিরোধ করার চেষ্টা করবেন। প্রয়োজন তাদের জীবন দিয়ে দিবেন।

এসময় বিক্ষোভকারীরা আরও বলেন, সরকার ২০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। আর আমরা এদেশের নাগরিক হয়ে কেন আশ্রয়হীন থাকবো, এমন প্রশ্ন ছিল সরকারের কাছে তাদের।বিক্ষোভে কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টের পুর্বদিকে বেড়িবাঁধের বাহিরে সরকারী জমিতে বসবাসকারী নারী, শিশুসহ ৫ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূর্বপাশে দুই কিলোমিটার এলাকার ৭৩ একর ভূমির মালিকানা দাবী নিয়ে সরকারের সাথে মনির আহম্মেদ ভূঁইয়া গং, সিরাজুল ইসলাম মিয়াজী গংদের সাথে ১৯৭২ সাল থেকে মামলা চলে আসছে। এ মামলায় কখনও সরকার পক্ষ আবার কখনও পাবলিকের পক্ষে রায় দেয় আদালত। ৫০ বছর ধরে এ মামলা চলে আসছিল।

গত ১০ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলা জজ আদালত নিষেধাজ্ঞা স্থাগিত করলে জেলা প্রশাসক সরকারী জমিতে থাকা বাড়িঘর, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের উদ্যোগ নেয়। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়।

কলাপাড়া ইউএনও শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, কুয়াকাটায় বেড়িবাঁধের বাহিরে সৈকত লাগোয়া দুই কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সরকারী জমি। সরকারী জমি দীর্ঘ বছর ধরে ভুয়া মালিকানা দাবীতে ভোগদখল করে আসছিল কতিপয় অবৈধ বসবাসকারীরা। আদালত কর্তৃক মালিকানা নিয়ে জটিলতা নিরসন হয়েছে। এই জমি এখন সরকারের। তাই সরকারী জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয়।

তিনি আরও বলেন, সরকারী জমিতে যারা অবৈধভাবে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে তাদের সরে যেতে হবে। এসব অবৈধ বসবাসকারীদের বাড়িঘর সরিয়ে নেওয়ার জন্য সময় দেয়া হয়েছে। প্রকৃত ভূমিহীনদের সরকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান তিনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ