শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

জমে উঠেছে আমতলীর ঈদ বাজার: ইন্ডিয়ান পোষাকের প্রতি ক্রেতাদের চাহিদা বেশী

জমে উঠেছে আমতলীর ঈদ বাজার। শিশু, নারী-পুরুষের পদচারনায় সরগরম বিপণি বিতানগুলো। সবচেয়ে কদর বেশী ইন্ডিয়ান-পাকিস্তানী পোষাকের। ক্রেতারা তাদের পছন্দ মত জামা-জুতা পোশাক-প্রসাধনী ঈদপন্য কিনছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাবেচা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে বাজারে ক্রেতাদের ভিড়ও তত বাড়ছে। এছাড়া পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত টেইলার্স কারিগড়রা। রাত জেগে তারা কাজ করছে।

জানাগেছে, এ বছর ১৫ রোজা থেকে আমতলীর ঈদ বাজার জমে উঠেছে। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। ঈদ বাজারে ইন্ডিয়ান ও পাকিস্তানী পোশাকের চাহিদা বেশী। ইন্ডিয়ান লং ফ্রোগের চাহিদা বেশী। প্রতিপ্রিস ফ্রোগ চার হাজার থেকে ছয় হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অরগাঞ্চা ডিজিটাল প্রিন্ট শাড়ীর প্রতি গৃহবধুদের আকর্ষণ বেশী। এ শাড়ী ৪ হাজার পাচ’শ থেকে ১২ হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আমতলীর বাজারে ধুপিয়ানা, কাঞ্চিভরাম কাতান ও প্রিন্ট কাতান এবং ভিপুল, পাকিস্তানী তাওয়াক্কাল, আয়রা, মাসাল, তাওয়াক্কাল, দিল্লি বুটিক্স ও লরস থ্রি পিস বেশী বিক্রি হচ্ছে। প্রকার ভেদে এ সকল থ্রি পিস ও শাড়ী ২ হাজার ৫’শ থেকে ১২ হাজার ৫’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নিউ মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়ের সেলসম্যান বাসু ও মোশাররফ হোসেন বলেন, ইন্ডিয়ান লং ফ্রোগের চাহিদা বেশী। প্রতিপ্রিস ফ্রোগ চার হাজার থেকে ছয় হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি করছি। অরগাঞ্চা ডিজিটাল প্রিন্ট শাড়ীর প্রতি গৃহবধুদের আকর্ষণ বেশী। এ শাড়ী ৪ হাজার পাচ’শ থেকে ১২ হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি করছি। তারা আরো বলেন, ধুপিয়ানা, কাঞ্চিভরাম কাতান ও প্রিন্ট কাতান এবং ভিপুল, পাকিস্তানী তাওয়াক্কাল, আয়রা, মাসাল, তাওয়াক্কাল, দিল্লি বুটিক্স ও লরস থ্রিপিস বেশী বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখাগেছে, ইন্ডিয়ান লং ফ্রোগ চার হাজার থেকে ছয় হাজার পাচ’শ, অরগাঞ্চা ডিজিটাল প্রিন্ট শাড়ী ৪ হাজার পাচ’শ থেকে ১২ হাজার পাচ’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ধুপিয়ান শাড়ী ৭ হাজার ৫’শ থেকে ৮ হাজার, কাঞ্চিভরাম কাতান ৩ হাজার ৫’শ থেকে ৭ হাজার ৫’শ ও প্রিন্ট কাতান শাড়ী ৬ হাজার ৫’শ থেকে ১০ হাজার ৫’শ এবং ভিপুল থ্রিপিস ২ হাজার ৫’শ থেকে ৫ হাজার ৫’শ, পাকিস্তানী তাওয়াক্কাল ৬ হাজার ৫’শ থেকে ১২ হাজার ৫’শ, আয়রা ৩ হাজার ৫’শ থেকে ৭ হাজার ৫’শ, মাসাল ৩ হাজার ২’শ থেকে ৫ হাজার ৫’শ, দিল্লি বুটিক্স ৬ হাজার থেকে ১৫ হাজার, তাওয়াক্কাল ৬ হাজার ৫’শ থেকে ১২ হাজার ও লরস ৬ হাজার ৫’শ থেকে ৮ হাজার ৫’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আমতলী পৌর শহরের তানিয়া বলেন, এ বছর পোশাকের ধরন বদলে গেছে এবং দামও একটু বেশী। ইন্ডিয়ান লং ফ্রোগ ৬ হাজার টাকায় ক্রয় করেছি। তিনি আরো বলেন, দাম একটু বেশী হলেও ভালো মানের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতা মরিয়াম ও পূর্ণতা বলেন, নিউ মাতৃছোয়া বস্ত্রালয় থেকে পোশাক ক্রয় করেছি। চাহিদামত মালামাল পাওয়া যায়।
নিউ মাতৃছোয়া বস্ত্রালয়ের পরিচালক জিএম মুছা বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বিক্রি অনেক ভালো। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। সেলসম্যানদের ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার আমতলী পৌর শহরের আকন বস্ত্রালয়, মদনমোহন বস্ত্রালয়, সিরাজ উদ্দিন মৃধা বস্ত্রালয়,ইসলামিয়া বস্ত্রালয়, আকন টাওয়ার, সাকিব প্লাজা, আব্দুল্লাহ মার্কেট ও সুমাইয়া কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। নারী ও পুরুষরা মিলে পছন্দের পোশাক ক্রয় করছে।

আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ঈদকে সামনে রেখে বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা করে মানুষের বাড়ী ফিরে যেতে যেন সমস্যা না হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ