জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন একইদিনে করা কঠিন ও অবাস্তব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে সিলেট সার্কিট হাউজে মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সিইসি বলেন, একদিনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন করা সম্ভব নয়। এটি করা কঠিন হয়ে যাবে।
এ সময় সংস্কার কমিশন প্রতিবেদন দেয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন নিয়ে ইসি নতুন পরিকল্পনা করবে বলেও জানান এ এম এম নাসির উদ্দিন।
এছাড়া ভোটার আইডি সংশোধনে বিগত দিনে আর্থিত দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলেও জানান সিইসি।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেবে ইসি। তবে নীতিমালার ভিত্তিতে সবার সুন্দরভাবে কাজ করা জরুরি।
এদিকে গত বুধবার (৮ জানুয়ারি) ইইউ ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ার সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার একইসঙ্গে স্থানীয় সরকার ও জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এছাড়া স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ গত ২৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভায় স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচন একইদিনে করার ইঙ্গিত দেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে নির্বাচন বেশ ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে। ২০২১ থেকে ২০২৪ সালে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে (ইউপি, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, উপজেলা ও জেলা পরিষদ), তাতে ব্যয় হয়েছে ২৩ হাজার কোটি টাকা। সময় লেগেছে ২২৫ দিন। লোক নিয়োগ দিতে হয়েছে ১৯ লাখ। এটা খুবই ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ।
‘একটি নির্বাচন দেশে অনেক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিও সৃষ্টি করে। আইন পরিবর্তন করে আমরা যদি জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন একই দিনে করতে পারি, তাতে খরচ লাগবে ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা। আর সময় লাগবে মাত্র ৪০ দিন। বিষয়টি নিয়ে আমরা চিন্তা করছি,’ যোগ করেন তিনি।