সমুদ্র সৈকত দেখা হলো না ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইসলামের। পথিমধ্যে পটুয়াখালী-আমতলী মহাসড়কের ঘটখালী নামক স্থানে পিকনিকের বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধান খেতে পরে ইসলাম নিহত (৫২) এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। গুরুতর আহত ১৮ জনকে বরিশাল শেবাচিম ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার সকালে।
জানাগেছে, কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত ভ্রমনের উদ্দেশ্যে ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে সেন্টমার্টিন ( ঢাকা মেট্রো ব-১২-১৪১৯) নামের একটি পরিবহন বাস বুধবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসে।
বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী-আমতলী মহাসড়কের ঘটখালী নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধান খেতে পরে যায়। এতে বাসের ৩০ জন যাত্রী আহত হয়। গুরুতর আহত মোহাম্মদ ইসলাম. পারুল, মেহেরুন, সেলিনা, রায়হান, রবিউল, পারভেজ, শিপু, সিরাতুন, ইমরান, মঞ্জু, মাহফুজা, সৈকত, ইসহাক, রিনা, মাহফুজা আক্তার, ইমরান হোসেন ও পপিকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কম্েপ্লক্সে আনা হয়। ওই হাসপাতালের কতৃব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ্ইমরান হোসেন তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও বরিশাল শেরাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন। বরিশাল আসার পথে মোহাম্মদ ইসলাম মারা যায়। আপর আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। নিহত মোহাম্মদ ইসলাম নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার সল্পের চর গ্রামের শাসসুদ্দিন বেপারীর ছেলে। অপর আহত সকলের বাড়ী একই এলাকায়। তারা পরস্পর আত্মীয়-স্বজন।
নিহত মোহাম্মদ আলীর ছোট ভাই আহত শহীদুল ইসলাম বলেন, পিকনিকের উদ্দেশ্যে পরিবার ও আত্মীয় স্বজন মিলে ৪৫ জন সেন্টমার্টিন বাসে কুয়াকাটা যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ধান খেতে পরে যায়। এতে আমার বড় ভাই মোহাম্মদ ইসলাম নিহত এবং ৩০ জন আহত হয়েছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইমরান হোসেন বলেন, গুরুতর আহত ১৮ জনকে চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেবাচিম ও পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে মোহাম্মদ ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, গাড়ীটি জব্দ করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।