নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যায় হাসপাতালে পৌঁছান তিনি।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে শারীরিক চেকআপ করতে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) এভারকেয়ার হাসপাতালে এসেছেন। কয়েকটি পরীক্ষা করতে সময় লাগবে। সেজন্য ম্যাডামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে বিএনপি চেয়ারপারসন চিকিৎসাধী নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ল
গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন রওনা হওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশারফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, শিরিন সুলতানা, কামরুজ্জামান রতন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, নিলোফার চৌধুরী মনি প্রমুখ।
৭৭ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভারসহ নানা রোগে ভুগছেন। অসুস্থতার মধ্যে গুলশানের ফিরোজায় চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তার চিকিৎসা চলছিল।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হওয়ার পর নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে আছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা হলে কারাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার।
পরে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও তার সাজা হয়। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাময়িক মুক্তি মেলার পর থেকে তিনি গুলশানের বাসাতেই থাকছেন।
সবশেষ গত ২৬ মার্চ খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।