আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিদেশি কূটনীতিকরা অযাচিত মন্তব্য করবেন না। বন্ধুত্বটা আপনারা নষ্ট করবেন না। নির্বাচনী জালিয়াতি শুধু বাংলাদেশে নয়, আমেরিকাতেও হয়। আমেরিকার সঙ্গে সবসময় বন্ধুত্ব চাই আমরা।
আজ শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে অভ্যর্থনা উপকমিটির প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আপনারা এদেশের আদালত পাড়া নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু নিজের দেশের অবস্থা কী? সেখানেও মানবাধিকারসহ নানা বিষয় লঙ্ঘিত হয়। তবে কারও ফরমায়েশ কিংবা কারও হস্তক্ষেপ শেখ হাসিনা শুনবেন না। তিনি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পান না।
তিনি বলেন, বিশ্বে বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিনই ম্যাস শুটিং হচ্ছে, সপ্তাহে অন্তত দুটি। একেকটিতে পাঁচ-দশজন। ১৯টি শিশু ম্যাস শুটিংয়ে মারা গেছে। পুলিশ সেখানে সিকিউরিটি দেয়নি, দিলে এ ঘটনা ঘটত না। আমাদের আদালতপাড়া নিয়ে কথা বলেন, আপনাদের ওখানে কী হলো?
সভায় বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে নাক না গলাতে বিদেশি কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমও। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের দেওয়া একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে পিটার হাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকায় নিহত ও আহতদের পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছে। আমরা ঢাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শন ও রাজনৈতিক সহিংসতার খবরে উদ্বিগ্ন। আমেরিকা এর সুষ্ঠু তদন্ত চায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।