শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আশ্বাস পেয়ে চার ঘণ্টা পর রাজধানীর শাহবাগের সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন (এনটিআরসিএ) সনদধারী চাকরিপ্রত্যাশীরা। তবে সড়ক ছেড়ে দিলেও আবারও শান্তিপূর্ণভাবে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান করছেন তারা।
আজ বুধবার বিকেল চারটার দিকে তারা সড়ক থেকে উঠে গেলে শাহবাগ থেকে মৎস্য ভবন অভিমুখী সড়কে যান চলাচল শুরু হয়।
বিক্ষোভকারীদের মধ্যে আমির হোসেন, জি এম ইয়াসিন ও ওমর ফারুক শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার জন্য বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিকে রওনা হয়েছেন।
ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, আমরা চাকরিপ্রত্যাশীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি। তাদের পক্ষ থেকে তিন জন শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছেন। এখন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগে শতাধিক নিয়োগপ্রত্যাশী অবস্থান নেন। এতে প্রায় ৪ ঘণ্টা রাস্তা বন্ধ থাকায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। যানজটে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ।
অবরোধ করা নিবন্ধনধারীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, আমরা অনেকদিন ধরে শাহবাগে প্যানেল ভিত্তিক চাকরি দাবিতে গণঅনশন করে আসছি। কিন্তু আমাদের দাবিকে তোয়াক্কা না করে আবারও গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে। আমাদের দাবি প্রথম প্যানেল থেকে ক্রমানুসারে সবাইকে চাকরি দিতে হবে। এর আগে গণবিজ্ঞপ্তির নামে কোনো প্রহসন আমরা মেনে নেব না।
এসময় সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা ‘সনদ যার, চাকরি তার’,’প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ চাই’,’প্যানেল নিয়ে দুর্নীতি, মানি না, মানব না’,’গণবিজ্ঞপ্তির নামে প্রহসন, মানি না মানব না’ ইত্যাদি বলে শ্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- এক আবেদনে সকল নিবন্ধনধারী চাকরি প্রত্যাশীদের প্যানেল ভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে; সকল নিবন্ধনধারীদের স্ব স্ব নীতিমালায় নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত নিবন্ধন পরীক্ষা বন্ধ রাখতে হবে এবং ইনডেক্সধারীদের গণবিজ্ঞপ্তির অন্তর্ভুক্ত না করে আলাদা বদলির ব্যবস্থা করতে হবে।