শনিবার, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমতলীতে সমাপনী ক্লাসকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রকে আরেক ছাত্রের মারধর

আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র মোঃ সাকিব ক্লাস সমাপনী অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র রাকিবকে স্টীলের স্কেল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত রাকিব এমন অভিযোগ করেন। আহত রাকিবকে স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ছাক্রদের পক্ষাবলম্বন ও অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অভিভাবকরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ঘটনা ঘটেছে সোমবার সকালে।

জানাগেছে, উপজেলা গুলিশখালী ইসহাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রবিবার ক্লাস সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। ওই অনুষ্ঠানে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র এবং নবম শ্রেনীর ছাত্রদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সোমবার সকালে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র রাকিব ও তার সহপাঠিরা বিদ্যালয়ে আসে। ওই সময়ে নবম শ্রেনীর ছাত্র সাকিব অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র রাকিবকে স্টীলের স্কেল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আহত রাকিবকে স্বজনরা উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় অষ্টম ও নবম শ্রেনীর ছাত্রদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আধা ঘন্টা চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। খবর পেয়ে অভিভাবকরা এসে ছাত্রদের নিবৃত করে। প্রধান শিক্ষক সেলিম মিয়া ছাত্রদের মধ্যে মারধর ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা দেখেও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি এবং বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অপকর্মেও সাষেথ জড়িত বলে অভিযোগ অভিভাবকদের। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ঘটনার পরপর নবম শ্রেনীর ছাত্র সাকিব পালিয়েছে।


অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র রুহুল আমিন, আতাউল, সিয়াম ও ইমন বলেন, নবম শ্রেনীর ছাত্র সাকিব এসে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র রাকিবকে স্টীলের স্কেল দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। এ ঘটনায় অষ্টম ও নবম শ্রেনীর ছাত্রদের মধ্যে স্কুল প্রাঙ্গণে ধাওয়া পাল্টার ঘটনা ঘটনা। তারা আরো বলেন, এ ঘটনা প্রধান শিক্ষক সেলিম মিয়াকে জানালে তিনি কোন পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।

আহত রাকিব মৃধা বলেন, গত রবিবার সমাপনী অনুষ্ঠানে অষ্টম ও নবম শ্রেনীর ছাত্রদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষুব্দ হয় নবম শ্রেনীর ছাত্ররা। সোমবার সকালে আমি বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে স্কুলে যাই। স্কুল প্রাঙ্গণে পৌছামাত্রই নবম শ্রেনীর ছাত্র সাকিব এসে আমার মাথায় স্ট্রীলের স্কেল দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

অভিভাবক মোঃ দুলাল গাজী বলেন, ছাত্রকে মারধরের ঘটনায় প্রধান শিক্ষক নিরব ভুমিকা পালন করেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। এতে অভিভাবকরা ক্ষুব্দ হয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

ইউপি সদস্য মোঃ জসিম উদ্দিন খোকন বলেন, প্রধান শিক্ষক সেলিম মিয়া উস্কানীতে বিদ্যালয়ে ছাত্রদের সঙ্গে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরো বলেন, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, চাকুরী দেয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়াসহ নানাবিধ অপরাধে জড়িত। এতে ক্ষুব্দ হয়ে অভিভাবকরা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

প্রধান শিক্ষক মোঃ সেলিম মিয়া বলেন,অষ্টম ও নবম শ্রেনীর ছাত্রদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে আমি পদক্ষেপ নিয়েছি।

আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ জিয়াউল হক মিলন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ