ক্রীড়া ডেস্ক
সবশেষ ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ব্রাজিল। এরপর ২২ বছর কেটে গেলেও মিশন হেক্সা সম্পন্ন হয়নি পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। গত জুলাইয়ে কোপা আমেরিকা থেকেও কোয়ার্টার-ফাইনালে বাদ পড়ে ব্রাজিল। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও ব্রাজিলের অবস্থা ভালো নয়। তাদের ইতিহাসে প্রথমবার তারা হেরেছে টানা তিন ম্যাচে। উরুগুয়ে, কলম্বিয়া ও আর্জেন্টিনার কাছে সেই হারগুলোর পর পয়েন্ট তালিকায় তারা নেমে গিয়েছিল ছয়ে। সবশেষ ম্যাচ গত শুক্রবার ইকুয়েডরকে কোনোরকমে হারিয়ে তারা উঠে এসেছে চারে।
এবার ব্রাজিলের নজর যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় হতে যাওয়া ২০২৬ বিশ্বকাপে। কোচ দরিভাল জুনিয়র আশার বানী শুনিয়েছেন ব্রাজিল সমর্থকদের। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্রাজিল কোচ জানিয়েছেন, আগামী বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলবে তার দল। মঙ্গলবার প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে এমন আশার কথা শোনালেন ব্রাজিল কোচ।
দরিভাল বলেন, ‘আপনি লিখে রাখতে পারেন ২০২৬ বিশ্বকাপে আমরা ফাইনাল খেলব, বিশ্বাস না হলে দুই বছর পর আমার কথা মিলিয়ে নেবেন।’
দরিভালের মতে, তিনি এখনও দলটাকে গুছিয়ে নিচ্ছেন। কিছু জায়গায় এখনই দলকে পোক্ত দেখছেন তিনি, কিছু জায়গায় দেখছেন কমতি। তিনি বলেন, ‘খেলার দর্শনীয় মানের কথা বললে, দল হিসেবে আমরা এখনও সঠিক পথ খুঁজছি। বল কেড়ে নেওয়া, বল হারানোর পর প্রতিপক্ষের দুই-তিন পাসের মধ্যে দ্রুত নিচে নামা, এসব ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী। বল পুনরুদ্ধারে আমরা যথেষ্ট শক্তিশালী।’
এখানেই থামার ইচ্ছে নেই দরিভালের, ‘আমরা রিকোভারির ক্ষেত্রে আরও আগ্রাসী হবো। দল হিসেবে আমার বিশ্বাস, আমরা উন্নতি করেছি। প্রতিপক্ষের বক্সের কাছে আমাদের এখনো কিছু ঘাটতি রয়েছে। একজন নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় বা এমন কেউ যে কিনা প্রতিপক্ষের ভারসাম্য নষ্ট করে দেবে।’
ব্রাজিলের কাছ থেকে ভক্তদের প্রত্যাশা ব্যাপক। ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচের পরেই তরুণদের ওপর নেইমারের সমান প্রত্যাশা না রাখার কথা শুনিয়েছিলেন দরিভাল। প্যারাগুয়ে ম্যাচের আগেও শোনালেন একই কথা, ‘আমাদের দৃশ্যমান উন্নতি রাতারাতি হবে না। এটা সময় লাগবে, তবে খুব দ্রুতই আমরা নিজেদের খুঁজে পাব। ক্লাবের তুলনায় জাতীয় দলে কাজটা কঠিন। জাতীয় দলে দুই-তিন ম্যাচের পর খেলোয়াড়রা লন্ডনে চলে যায়। দানিলো যাবে ইতালি। আমাদের যেতে হবে রিও ডে জেনিরোতে। কাজটা সহজ না।’