বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও শফিউল আজিম বলেছেন, ২০২৩ সালের হজ ফ্লাইটের বিমান ভাড়া আর কমানোর সুযোগ নেই।
রোববার বিকালে বিমানের কুর্মিটোলার বলাকা কার্যালয়ে হজ ভাড়ার বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিমানের এমডি বলেন, আমরা তিন মাস ধরে হজের বিমান ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের প্রথম প্রস্তাব ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৩৩৮ টাকা। পরে এটিকে কমিয়ে প্রায় এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা করা হয়েছে। জাতীয় নির্বাহী কমিটি এ ভাড়া নির্ধারণ করেছে। এবার ভাড়া বৃদ্ধির অন্যতম কারণ ট্যাক্স বৃদ্ধি, ডলারের দাম বৃদ্ধি ও জেট ফুয়েলের দাম বৃদ্ধি। ভাড়া বৃদ্ধিতে আমাদের হাত নেই।
তিনি বলেন, হজের যে ভাড়া ধরা হয়েছে এটা একদম সর্বনিম্ন ও সর্বশেষ। আমরা যতটুকু সম্ভব ততটুকু কমিয়েছি। এর চেয়ে কম আর করা যায় না। হজ ফ্লাইটে যে বিমান ভাড়া ধরা হয়েছে সেটি একটি আদর্শ বিমান ভাড়া।
বিমানের এমডি বলেন, হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সেখানে বিমান একটি মাত্র খাত। আমরা সর্বনিম্ন দিয়েছি। এরপরে আমাদের আর কিছু করার নাই।
বিমান ভাড়া নির্ধারণের পদ্ধতি নিয়ে তিনি বলেন, হজের বিমান ভাড়া সাইন্টিফিক উপায়ে নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা নিয়ে অযৌক্তিক, অনুমান নির্ভর, অর্ধসত্য বলার সুযোগ নেই। হজযাত্রীরা আমাদেরও যাত্রী তাদের সেবা দেওয়া আমাদের সর্বপ্রথম দায়িত্ব।
বিমানে পাইলট নিয়োগে দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, যার বিষয়ে কথা বলা হয়েছে (পাইলট সাদিয়া) তিনি বিমানে পাইলট হিসেবে চূড়ান্তভাবে নিয়োগ পাননি। একজন পাইলট নিয়োগের আগে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে তাকে যেতে হয়। তার কাছে পাইলটের লাইসেন্স ছিল। বিমানে তাকে পাইলট হিসেবে বাছাইয়ের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। তার বিষয়ে নানা তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এমডি বলেন, রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিমান নিয়মিত জনসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। তুরস্কের ভূমিকম্পের সময় টরন্টো থেকে বিনামূল্যে ত্রাণসামগ্রী ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া বিমান শিগগিরই ভারতের চেন্নাই ও ব্যাঙ্গালুরুতে ফ্লাইট চালু করবে। হজ ব্যবস্থাপনার পর আগস্টে জাপানের নারিতায় এবং এ বছরের শেষে নিউইয়র্ক যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
এবার সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। গত বছরের চেয়ে এবার উভয় প্যাকেজেই বেড়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।
এবার বিমানের হজ ফ্লাইট ভাড়া প্রায় ৫৮ হাজার টাকার মতো বৃদ্ধি করে এক লাখ ৯৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।