স্বাধীনতা দিবসে একটি শিশুকে অর্থ দিয়ে প্ররোচিত করে অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের নেতৃবৃন্দ।
নারী ও শিশু অধিকার কর্মী তারানা হালিম স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে আজ বলা হয়, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে দৈনিক প্রথম আলোর একজন ফটোসাংবাদিক একটি কোমলমতি শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে ‘আমাগো মাছ, মাংস আর চাউলের স্বাধীনতা লাগবো’ বলে যে মন্তব্য করিয়েছেন তা সাংবাদিকতার নীতিমালার পরিপন্থী এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলে অবুঝ শিশুকে ব্যবহারের নির্লজ্জ দৃষ্টান্ত।
তারা বলেন, উক্ত শিশুটি নিজেই পরে সাংবাদিকদের বলেছে, ‘ঐ সাংবাদিক আমাকে ১০ টাকা দিয়ে এই কথা বলতে বলেছে, আমি বলছি’। শিশুটির এই সত্য ভাষণ এবং প্রথম আলোর উক্ত সংবাদটি ভাইরাল হবার ১৭ মিনিট পর প্রত্যাহার করা- এই সত্যকেই প্রতিষ্ঠিত করে যে একটি শিশু তাদের দ্বারা অর্থের বিনিময়ে সরকারকে বিব্রত করার রাজনৈতিক কারণে ব্যবহৃত হয়েছিল, যা একটি শাস্তিযোগ্য বিবেক বর্জিত গর্হিত অপরাধ।
একটি শিশুকে অর্থের বিনিময়ে ব্যবহার করা, কিছু বলতে বাধ্য করা এবং রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করার এই ঘটনাটি আমাদের বাসন্তীকে জাল পরিয়ে ছবি তুলে সরকার বিরোধী প্রোপাগান্ডা চালাবার কথাই মনে করিয়ে দেয় উল্লেখ করে তারা বলেন, পরবর্তীতে বাসন্তী বলেছিল, তাকে টাকার বিনিময়ে শাড়ির ওপর জাল পরিয়ে ঐ ছবিটি তুলেছিল সাংবাদিক।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘একটি শিশুকে অর্থের বিনিময়ে প্রলুব্ধ করে এহেন সংবাদ পরিবেশনের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে একটি শিশুকে এহেন নির্লজ্জভাবে ব্যবহারের জন্য দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারি অন্যান্যরা হলেন, সংগীত শিল্পী (স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র) বুলবুল মহলানবীশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ্ছু জালাল (ঢাকা গেরিলা বাহিনীর সবুজ গ্রুপ, সেক্টর-২), বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, বীর প্রতীক, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসানুল হক মীনু (অভিনেতা, সংস্কৃতিকর্মী) অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন (ভাইস চ্যান্সেলর, কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক ড. শাহ আযম শান্তনু (ভাইস চ্যান্সেলর, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়), অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন (ভাইস চ্যান্সেলর, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল), অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন (ভাইস চ্যান্সেলর, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), সংগীত শিল্পী শুভ্র দেব, অভিনেতা, সংস্কৃতিকর্মী সাজু খাদেম, মীর সাব্বির, তুষার খান ও পুনম প্রিয়ম।