মাদারীপুরের শিবচর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৭ জনের নাম পরিচয় মিলেছে । নিহতদের মধ্যে সাতজনই গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৯ জনের মধ্যে ১৭ জনের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটি কক্ষে রাখা হয়। বাকি দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭ জনের পরিচয় মিলেছে।
তারা হলেন গোপালগঞ্জ গোপীনাথপুর এলাকার তৈয়ব আলীর ছেলে হেদায়েত মিয়া, বনগ্রাম এলাকার শামসুল শেখের ছেলে মোসতাক আহম্মেদ, সদর উপজেলার নশর আলী শেখের ছেলে সজীব শেখ, পাচুরিয়া এলাকার মাসুদ হোসেনের মেয়ে সুইটি আক্তার, টুঙ্গিপাড়ার কাঞ্চন শেখের ছেলে করিম শেখ, সদর উপজেলার আবু হেনা মোস্তফার মেয়ে আফসানা মিমি, মুকসেদপুর এলাকার আমজেদ আলীর ছেলে মাসুদ আলী, খুলনার সোনাডাঙা এলাকার শেখ মোহাম্মদ আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন, খুলনা সাউথ মেন্টাল রোড এলাকার চিত্তরঞ্জন ঘোষের ছেলে চিন্ময় প্রসুন ঘোষ, ডুমুরিয়া এলাকার পরিমল সাদু খাঁর ছেলে মহাদেব কুমার সাদু খাঁ, আমতলা এলাকার শাহজাহান মোল্লার ছেলে আশফাকুর জাহান লিংকন, বাগেরহাট জেলার শান্তিরঞ্জন মজুমদারের ছেলে অনাদি মজুমদার, ফরিদপুর হিদাডাঙ্গা এলাকার সৈয়দ মুরাদ আলীর ছেলে মো. ইসমাইল, নড়াইল লোহাগড়া এলাকার বকু শিকদারের ছেলে ফরহাদ শিকদার, বাসের চালক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলী আকবরের ছেলে জাহিদ হাসান ও বাস ড্রাইভারের সহকারী মো. মিরাজ, পাবনার সুজানগর এলাকার গহর আলীর ছেলে ইউসুপ আলী।
এ বিষয়ে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এখানে ১৭ জনের মরদেহ রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭ জনের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ১৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পাশাপাশি নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।’
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ইমাদ পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ১৭ জন নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে। আজ সকালে পদ্মাসেতুর এক্সপ্রেসওয়ের রেলিং ভেঙে বাসটি নিচে পড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।