আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো সংঘাত চায় না।
আজ শনিবার ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণভবনের দরজা খোলা। কোটা আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি তাদের সঙ্গে আমি বসতে চাই, তাদের কথা শুনতে চাই। কোনো সংঘাত চাই না। আমরা সংঘাত এড়িয়ে চলেছি। বিতর্কে নয়, আমরা ঐক্যে বিশ্বাসী। আজকেও আমাদের নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। সেটি স্থগিত করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কোটা সংস্কারের শিক্ষার্থীদের যা দাবি ছিল- তা মেনে নেয়া হয়েছে। এখন শিক্ষার্থীদের সেই আন্দোলন বেহাত হয়ে গেছে। চলে গেছে তৃতীয় পক্ষের হাতে।
তিনি বলেন, তারা বাংলাদেশকে অকার্যকর বানাতে চায় এবং দেশকে খাদের কিনারায় নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু তাদের এই অশুভ তৎপরতা আমরা সফল হতে দিতে পারি না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের স্বাধীনতার মূল্যবোধ ও চেতনার প্রতি আমাদের কমিটমেন্ট রয়েছে। আমরা সকলের নিকট দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে এগিয়ে যাবে আমাদের এই বাংলাদেশ।
শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করছেন জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশবিরোধী একটা মহল চলমান সংকট জিইয়ে রেখে ফায়দা লুটার তৎপরতা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে পরিস্কার হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, অবুঝ শিশুরা কোনো রাজনীতি করে না। তাদের হত্যা করে, তাজা প্রাণ ঝরিয়ে আমাদের কী লাভ? লাভ তাদের- যারা এই শিশুদের কাছ থেকে ফায়দা লুটতে চায়, যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে যারা দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করতে চায়- তাদের প্রতিহত করতে আমরা যুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সবাই কাজ করব।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ধৈর্য ও সংযমের মাধ্যমে পরিস্থতি মোকাবিলা করছেন। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছেন। প্রতিটি হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তদন্ত কমিশন বিচার বিভাগীয় গঠন করেছে। ইতোমধ্যেই কমিটি কাজ শুরু করে দিয়েছে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে জাতিসংঘ যদি যুক্ত হয়, তবে তাতে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও আফজাল হোসেন, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দোলোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।