কোটা আন্দোলন ঘিরে হতাহতের ঘটনায় দায়ীদের বিচার করাসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে নতুন কর্মসূচি দিয়ে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ছেড়েছেন ছাত্র, শিক্ষক ও জনতা।
শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কর্মসূচি শেষে ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রাগীব নাঈম জানান, আমাদের দাবি না মানা হলে রোববার গণমিছিল কর্মসূচি পালন করা হবে।
দাবিগুলো হলো, গণগ্রেপ্তার বন্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, আটক শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি, কারফিউ প্রত্যাহার, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে এবং সরকারকে শিক্ষার্থী-জনতা হত্যার দায়ে পদত্যাগ করতে হবে।
রাগীব নাঈম বলেন, আগামী রোববারের (৪ আগস্ট) মধ্যে দাবি আদায় না হলে সেদিন বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে গণমিছিল শুরু হবে।
এর আগে, দুপুরের দিকে প্রেসক্লাব থেকে শহীদ মিনারের উদ্দেশ্য দ্রোহযাত্রাটি শুরু হয়। এতে হাজারও শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সংস্কৃতিকর্মীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের সভাপতিত্বে দ্রোহযাত্রাটি বিকেল ৪টার দিকে শহীদ মিনারে এসে পৌঁছায়। এ সময় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ নানান ধরনের স্লোগান দেন।
দ্রোহযাত্রায় জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সি আর আবরার, উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ক গবেষক মাহা মির্জা, শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ, আসিফ নজরুল, সামিনা লুৎফা, লেখক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ অনেকেই অংশ নেন।