রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার পরীক্ষিত বন্ধু বাংলাদেশ। সমতা ও সম্মান এই বন্ধুত্বের ভিত্তি।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশের কাছে নিউক্লিয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া শুধু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের ক্ষেত্রে নয় প্রকল্পের পুরো সময়কাল সব ধরনের কারিগরি সহযোগিতাও করে যাবে এবং জ্বালানিও সরবরাহ করে যাবে।
তিনি বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের বর্ধনশীল অর্থনীতির চাহিদা মেটাতে ভূমিকা রাখবে। এই প্রকল্পে সরাসরি ২০ হাজার বাংলাদেশির কর্মসংস্থান হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য অনেক কোম্পানি এই প্রকল্পে কাজ করছে। সেটাও কর্মসংস্থানে ভূমিকা রাখছে। ভারতও এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহোযোগিতা করেছে।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর যে কয়েকটি দেশ প্রথম স্বীকৃতি দিয়েছিল তারমধ্যে সোভিয়েত ইউনিয়ন প্রথম। গতবছর বঙ্গবন্ধুর মস্কো সফরের সুবর্ণজয়ন্তি পালিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র দেশের বিদ্যুৎ চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করবে। এছাড়া জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমাবে। ফলে দেশের পরিবেশ সুরক্ষিত থাকবে।
ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি আরও যুক্ত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি।
এর আগে প্রকল্পের পরিচিতি তুলে ধরেন পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রকল্প পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর।
এরপর পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে প্রথম ব্যাচের হস্তান্তর সম্পর্কিত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।