যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার কাছে নৌ মহড়া চালিয়েছে রাশিয়া ও চীন। আর এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ওয়াশিংটন। তারা সঙ্গে সঙ্গে সেখানে চারটি যুদ্ধজাহাজ এবং একটি বিমান পাঠায়।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রাশিয়া ও চীনের একটি বড় নৌবহর আলাস্কার উপকূলের কাছে মহড়া চালিয়েছে। যদিও ঘটনাটি ঘটেছে আরও এক সপ্তাহ আগেই। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে শনিবার, যখন আলাস্কার দু’জন রিপাবলিকান সিনেটর মার্কিন পার্লামেন্টে বিষয়টি উত্থাপন করেন। এ খবর দিয়েছে আরটি।
খবরে জানানো হয়, ওই দুই সিনেটরের নাম লিসা মার্কোস্কি এবং ড্যান সালিভান। তারা বলেন, অন্তত ১১টি শত্রু যুদ্ধজাহাজ মার্কিন জলসীমায় প্রবেশ করেছিল। তারা চীন-রাশিয়ার এই আচরণকে ‘অনুপ্রবেশ’ বলে আখ্যায়িত করেন।
সালিভান বলেন, এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে আমরা বেইজিং ও মস্কোর স্বৈরশাসকদের দ্বারা আবারও আগ্রাসনের হুমকিতে রয়েছি।
মার্কিন নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অধিনায়ক এবং হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ব্রেন্ট স্যাডলার বলেন, ইতিহাসে এমন ঘটনা আর ঘটেনি।
ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ এবং তাইওয়ান নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই আলাস্কায় নৌবহর পাঠানো একটি ‘অত্যন্ত উত্তেজক’ কৌশল।
এদিকে ইউএস নর্দার্ন কমান্ডও নিশ্চিত করেছে যে, চীন এবং রাশিয়া ওই অঞ্চলে যৌথ নৌ মহড়া চালিয়েছে। তবে ঠিক কয়টা যুদ্ধ জাহাজ চীন-রাশিয়া পাঠিয়েছিল তা তারা নিশ্চিত করে জানায়নি।
এক বিবৃতিতে তারা বলে, যুক্তরাষ্ট্রের সামুদ্রিক সম্পদ ও প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য আমরা পাল্টা অপারেশন পরিচালনা করেছি।
জানা গেছে, শত্রু দুই দেশের এমন উস্কানিমূলক আচরণের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র সেখানে চারটি ডেস্ট্রয়ার এবং একটি পসেইডন পি-৮ টহল বিমান পাঠিয়েছিল। যদিও চীন-রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের তুলনায় এই সংখ্যা অনেক কম ছিল।