মঙ্গলবার, ২৪শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলার গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে সরবরাহের উদ্যোগ

আগামী চার মাসের মধ্যে ভোলার প্রাকৃতিক গ্যাস সিএনজি আকারে সিলিন্ডারের মাধ্যমে ঢাকার আশপাশের শিল্প-কারখানায় সরবরাহ শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে দৈনিক ৫ মিলিয়ন এবং পরবর্তিতে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস এখান থেকে সরবরাহ হবে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে পাইপলাইন বসানো জরুরি।

ভোলা, বাংলাদেশের একমাত্র ব-দ্বীপ। প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মেলায় দেশের জ্বালানি খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এ জেলা। কিন্তু পাইপলাইন না থাকায় ভোলার গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়নি।

এমন বাস্তবতায় দেশের বর্ধিত জ্বালানির চাহিদা মেটাতে ভোলার গ্যাস সিএনজিতে রূপান্তরিত করে ঢাকার আশপাশের শিল্প এলাকায় সরবাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যেই বেসরকারি একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির প্রস্তাব নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি।

পেট্রোবাংলা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, “অনেক প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে। যেহেতু আমরা জরুরি গ্যাস সংকট মোকাবেলার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি সেপ্রেক্ষিতে একটা প্রস্তাব সরকারের বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা হয়েছে।”

পেট্রোবাংলা আশা করছে, প্রক্রিয়া এগিয়ে যাওয়ায় ৩-৪ মাসের মধ্যেই গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হতে পারে।

প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বলেন, “৪ মাসের মধ্যে এই গ্যাস ঢাকায় সরবরাহ করা হবে। আশা করি, প্রাথমিক পর্যায়ে ৫ মিলিয়ন পরীক্ষামূলক পরবর্তী পর্যায়ে ২০ মিলিয়ন ঘনফুট। পর্যায়ক্রমে এটা কিভাবে আরও সম্প্রসারিত করা যায় সেই চিন্তা-ভাবনাও আমাদের আছে।”

শিল্পোদ্যোক্তারা বলছেন, শুধু সিএনজি নয়, এলএনজিতে রূপান্তারিত করেও ভোলার গ্যাস শিল্পে সরবরাহ করা দরকার। পাশাপাশি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে পাইপলাইন বসানো সম্ভব হলে আরও ভালো।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, “এলএনজির মাধ্যমে পাইপলাইনে যদি করা হয় তাহলে যে এরিয়াতে যখন গ্যাসের প্রয়োজন পড়বে, চাপ দরকার হবে সেখানে সরবরাহ করা সহজ হবে।”

তবে এই মুহূর্তে এলএনজিতে রূপান্তর ও পাইপলাইন বসানোর সুযোগ না থাকলেও ভবিষ্যতে সম্ভব হবে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা।

পেট্রোবাংলা পরিচালক বলেন, “আমরা প্রথমে চিন্তা করেছিলাম এটা এলএনজি আকারে করা যায় কিনা। তবে এলএনজি করার মতো যে পরিমাণ গ্যাস দরকার সেই পরিমাণ গ্যাস এখন মজুদ হয়নি। সেটা হতে আরেকটু সময় লাগবে। সেই হিসেবে চিন্তাভাবনা করে ভোলার গ্যাস সিএনজি আকারে স্থানান্তরের জন্য উপায় খুঁজতে থাকি।”

বর্তমানের পাইপলাইন থেকে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের জন্য শিল্প উদ্যোক্তাদের দিতে হচ্ছে ৩০ টাকা। সিএনজি স্টেশন থেকে বিক্রি হয় ৪৩ টাকায়। জানা গেছে, ভোলার গ্যাস বিক্রি হবে প্রতি ঘনমিটার ৪৬ টাকা ৬০ পয়সা।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ