গণঅভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতেই থাকছেন। তবে তিনি ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেবেন না। এর বদলে ভারতের ভিসার মাধ্যমে দেশটিতে অবস্থান করবেন।
আজ শুক্রবার (৯ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সহযোগী সংস্থা নিউজ-১৮ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এই প্রতিবেদনকে এক্সক্লুসিভ বলে দাবি করে নিউজ-১৮।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আশ্রয়ের ব্যাপারে আমরা জানতে পেরেছি, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে দীর্ঘ সময়ের জন্য অবস্থান করতে যাচ্ছেন। এর আগে জানানো হয়েছিল, শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
ভারতীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে নিউজ-১৮ বলেছে, ‘হাসিনা ভিসার মাধ্যমে ভারতে অবস্থান করবেন। কারণ, আমাদের (ভারতের) কোনো শরণার্থী বা সাহায্যপ্রার্থীর আইন নেই।’
নিউজ-১৮-এর সাংবাদিক জানিয়েছেন, ‘যুক্তরাজ্যে হাসিনা রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার চেষ্টা চালিয়েছিলেন, সেটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে। কারণ, যুক্তরাজ্য এ ব্যাপারে কোনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও তার ভিসা বাতিল করেছে। হাসিনাকে আশ্রয় না দিতে যুক্তরাজ্যের উপর ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলো চাপ দিচ্ছে। তবে ভারত সরকার শেখ হাসিনাকে বলেছে যে, যতদিন পর্যন্ত তিনি ভবিষ্যত পরিকল্পনা ঠিক না করছেন, ততদিন তিনি ভারতেই অবস্থান করতে পারবেন।’
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, হাসিনার অন্য কোনো নিরাপদ দেশে যাওয়ার চেষ্টা এখন কাজে দিচ্ছে না। ফলে তিনি আপাতত ভারতেই থাকছেন।
প্রসঙ্গত, সরকারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভের মুখে গত সোমবার (৫ আগস্ট) শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে যেতে বাধ্য হন। এরপর থেকে সেখানে অবস্থান করছিলেন তিনি। শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও আছেন। যুক্তরাজ্যে তাদের পরিবারের সদস্যরা থাকেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানা যায়। এছাড়া যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য শেখ হাসিনার ভিসাও নেই।