ফরচুন বরিশাল এর আগে বিপিএলে ৩ বার ফাইনাল খেলেছে । সর্বশেষে ২০২২ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষেই ফাইনালে হারে তারা। এবার সেই কুমিল্লাকে হারিয়েই প্রথমবার বিপিএলের শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলো বরিশাল।
আজ শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চলতি বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তামিম ইকবালের দল। শুধু বরিশাল নয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজও এবারই প্রথম বিপিএলে শিরোপা জয়ের স্বাদ পেলেন।
এদিন আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৪ রান করে কুমিল্লা। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এছাড়া ১৪ বলে ২৭ রান আসে আন্দ্রে রাসেলের ব্যাট থেকে। জবাবে ১ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। অধিনায়ক তামিম ইকবাল ২৬ বলে ৩৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। এছাড়া ৩০ বলে ৪৬ রান আসে কাইল মায়ার্সের ব্যাট থেকে।
৪৬ রান দূরে বরিশাল
প্রথমবারের মতো বিপিএলের শিরোপা জিততে ৪৬ রান প্রয়োজন ফরচুন বরিশালের, বল আছে ৩৯টি।
কাইল মায়ার্স ২১ আর মুশফিকুর রহিম ব্যাটিং করছেন ৬ রানে।
তামিমের পর এবার ফিরলেন মিরাজ
সঙ্গী তামিম ইকবাল ফেরার দ্রুতই ফিরলেন মেহেদী হাসান মিরাজও। তিনি করেন ২৬ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৯ রান। ৯.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ফরচুন বরিশালের সংগ্রহ ৮৪ রান।
ঝড় তুলে ফিরলেন তামিম
২৬ বলে ৩৯ রানের বিষ্ফোরক ইনিংস খেলে ফিরলেন তামিম ইকবাল। ফেরার আগে দলকে রেখে গেলেন দারুণ অবস্থানে। ৮.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ফরচুন বরিশালের সংগ্রহ ৭৮ রান।
৭ ওভারে বরিশাল ৬১/০
৭ ওভার শেষে ফরচুন বরিশালের স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে বিনা উইকেটে ৭০ রান। মেহেদী হাসান মিরাজ ও তামিম ইকবাল, দুজনেই ২১ বলে ২৫ রানে ব্যাটিং করছেন। জয়ের জন্য আর ৭৮ বলে ৯৪ রান প্রয়োজন বরিশালের।
বরিশালের উড়ন্ত শুরু
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেওয়া ১৫৫ রান তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত শুরু পেয়েছে ফরচুন বরিশাল। প্রথম ২ ওভার থেকেই দলটির স্কোরবোর্ডে জমা হয়েছে ২৭ রান।
কুমিল্লাকে ১৫৪ রানে আটকে রাখলো বরিশাল
১৯তম ওভারে ৩ ছক্কা হাঁকালেও শেষ ওভারে একটি চারও মারতে পারলেন না কুমিল্লার আন্দ্রে রাসেল। আর আতে ২০ ওভার শেষে ১৫৪ রানে আটকে রইলো কুমিল্লা। প্রথমবার শিরোপা জয়ের স্বাদ পেতে বরিশালকে করতে হবে ১৫৫ রান। ১৪ বলে ২৭ রান করেন রাসেল। আর বরিশালের হয়ে ২ উইকেট নেন জেমস ফুলার।
রান আউটে কাটা মঈন, বিপর্যয়ের মুখে কুমিল্লা
রান আউট হয়ে ফিরলেন মঈন আলি। ৭৯ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেললো কুমিল্লা। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে এখন লড়াকু পুঁজি গড়াই তাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
চার্লসও ফিরে গেলেন, বিপদে কুমিল্লা
এবার জনসন চার্লসকেও হারালো কুমিল্লা। বরিশালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার ম্যাকয়কে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শর্ট লং অফে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফেরার আগে ১৫ বলে ১৭ রান করেন চার্লস। ৯.৩ ওভারে কুমিল্লার সংগ্রহ ৬৬/৪।
দলকে বিপদে রেখে ফিরে গেলেন অধিনায়ক লিটনও
আগের বলেই দারুণ শটে চার হাঁকান, ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে ভেসে আসে প্রশংসা। তবে ঠিক পরের বলেই ফাঁদে পা দিয়ে নিজের উইকেট ছুড়ে দিলেন অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। ফুলার বাউন্সারে আপার কাট খেলতে গিয়ে থার্ডম্যানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে ধরা পড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ১৬ রান। ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লার সংগ্রহ ৪৯ রান।
ঝড়ের আভাস দিয়ে ফিরলেন হৃদয়
উইকেটে এসেই আগ্রাসী হয়ে ওঠেন কুমিল্লার তাওহীদ হৃদয়। তবে বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি তিনি। বরিশালের ইংলিশ পেসার ফুলারের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে থার্ড ম্যানে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাতে তালুবন্দী হন হৃদয়। ফেরার আগে ১০ বলে ১৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে কুমিল্লার সংগ্রহ ৩০ রান।
প্রথম ওভারেই নারাইনকে হারালো কুমিল্লা
ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই চার হাঁকান কুমিল্লার ওপেনার সুনীল নারাইন। তবে পরের বলেই জীবন পান তিনি। যদিও একই ওভারের শেষ বলেই আউট হলেন তিনি। ১ উইকেট হারিয়ে প্রথম ওভার শেষে কুমিল্লার সংগ্রহ ৭ রান।
টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বরিশাল
চলতি বিপিএলের ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে আজ টস জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফরচুন বরিশাল।
এর আগে কখনোই বিপিএলের শিরোপা জেতেনি বরিশাল। অন্যদিকে কুমিল্লা কখনো ফাইনালে হারেনি।
একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বরিশাল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অবশ্য একটি পরিবর্তন এনেছে। পেসার মুশফিক হাসানের জায়গায় একাদশে ফিরেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। চট্টগ্রামে অনুশীলনের সময় মাথায় বলের আঘাত পাওয়ায় ছিটকে যান তিনি। অবশেষে চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরলেন এই বাহাতি পেসার।
ফরচুন বরিশাল একাদশ:
তামিম ইকবাল, ডেভিড মিলার, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, জেমস ফুলার, কাইল মায়ার্স, তাইজুল ইসলাম, ওবেদ ম্যাকয় ও সাইফ উদ্দিন।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স একাদশ:
লিটন দাস, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, তাওহীদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, মোস্তাফিজুর রহমান, তানভীর ইসলাম, রোহানত দৌল্যা বর্ষণ, সুনীল নারিন, মঈন আলী, জনসন চার্লস ও আন্দ্রে রাসেল।