বান্দরবানের রুমা উপজেলায় প্রশাসন ভবনে হামলা ও ব্যাংক লুটের ঘটনার প্রায় ১৭ ঘণ্টা পরও অপহৃত সোনালী ব্যাংক ম্যানেজার মো. নিজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে উদ্ধারের তৎপরতা চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
বুধবার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন রুমা সোনালী ব্যাংক পরিদর্শন করেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন বান্দরবান পুলিশ সুপার সৈকত সাহিন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুমা সার্কেল মো. জুনায়েদ।
পরে জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা সোনালী ব্যাংক রুমা শাখাটি পরিদর্শন করেছি। ব্যাংকের ভোল্ট এখনো খোলা হয়নি। যেহেতু ভোল্ট খোলার একটি প্রসিডিউর রয়েছে সেহেতু এটা সিআইডি বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরা দেখবে। তাছাড়া ব্যাংক উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভির ফুটেজ আমরা নেওয়ার চেষ্টা করছি। আপাতত ডিভিআরগুলো রুমা থানায় সংরক্ষিত রয়েছে।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে রুমা উপজেলা প্রশাসন ভবনে হামলা চালায় সশস্ত্র ব্যক্তিরা। পরে সোনালী ব্যাংকের শাখায় হামলা চালানো হয়। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। পার্বত্য অঞ্চলভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) সদস্যরা এ হামলায় অংশ নেয় বলে রুমার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দিদারুল আলম গণমাধ্যমকে জানান।
তিনি জানান, সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর (পুলিশ ও আনসার ভিডিপির) অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করেছে। তারা পুলিশের দুটি এসএমজি ও ৬০ রাউন্ড গুলি, আটটি চীনা রাইফেল ও ৩২০ রাউন্ড গুলি ও আনসারের চারটি শটগান ও ৩৫ রাউন্ড গুলি লুট করে। তবে সোনালী ব্যাংকের ভোল্ট থেকে টাকা লুট হয়েছে কিনা- এ ব্যাপারে কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
তবে ধারণা করা হচ্ছে ব্যাংকের ভোল্ট ভাঙতে না পারায় মূলত মুক্তিপণের জন্য ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করা হয়েছে। সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে নতুন সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি-চিনের সদস্য বলে ধারণা করছেন উপজেলার এই কর্মকর্তা।