নতুন টাকার বাজারে চলছে অরাজকতা। এক হাজার টাকার নতুন নোট পেতে গ্রাহককে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত আড়াইশ’ টাকা। ঈদকে কেন্দ্র করে নতুন নোটের চাহিদা বাড়ায় এমন স্বেচ্ছাচারি আচরণ করছেন মতিঝিল-গুলিস্তানের নোট বদলের ব্যবসায়ীরা। এদিকে, ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ঈদ সেলামিতে চাই নতুন টাকা। তাই ঈদ এলেই অনেকের মাঝেই নতুন নোট সংগ্রহের প্রবণতা তৈরি হয়। আর এতে নতুন টাকার চাহিদা বেড়ে যায়। ব্যাংক কিংবা খোলাবাজার থেকে সংগ্রহ হয় নতুন টাকা।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও রাজধানীর গুলিস্তান-মতিঝিলে নতুন টাকার পসরা বসিয়েছেন টাকা বদলের ব্যবসায়ীরা।
তবে এসব টাকা বাজারে চলছে চরম অরাজকতা। এক বান্ডিল বা ১০০টা ১০ টাকার নোট নিতে গ্রাহকদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ২শ’ থেকে আড়াইশ’ টাকা। অর্থাৎ বাড়তি নেয়া হচ্ছে ২৫ শতাংশ।
এক ক্রেতা জানান, মনে হচ্ছে টাকা একটু বেশি রাখছে, ১ হাজার টাকার নতুন নোট নিলাম বাড়তি ২শ’ টাকা রেখেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, তাদেরকেও বেশি টাকা দিয়ে আনতে হচ্ছে নতুন নোট।
তারা জানান, ১০ টাকা নোটের চাহিদা বেশি, সেটাই আমরা পাচ্ছি না। বড় নোট যেগুলো পাওয়া যায় সেগুলোর রেট কম কিন্তু মানুষ তা নিচ্ছে খুবই কম। ১০ টাকার এক বান্ডিলে বাড়তি ২২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তিন-চার হাত বদল হওয়ার পর আমরা মাল পাই। তারাও লাভ করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলছেন, খোলাবাজারে মাত্রাতিরিক্ত অর্থে নতুন টাকা বিক্রি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
মুখপাত্র মেজাবউল হক বলেন, মার্কেটে নতুন টাকা অধিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে, এই জায়গায় অনেকের সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ থাকে। এর জন্য এই জিনিসটাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। প্রত্যেক মানুষকে একটা ৫০ টাকা, একটা ২০ টাকা, একটা ১০ টাকা এবং ১টা ৫ টাকার প্যাকেট সরবরাহ করে থাকি।
খোলাবাজার ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক বা অন্যান্য ব্যাংক থেকেও মিলছে নতুন টাকা। তবে ব্যাংক থেকে নতুন নোট নিলে গ্রাহককে বাড়তি অর্থ দিতে হয় না।