বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যে গভীর সুসম্পর্ক, বিশ্বের আর কোথাও এমন সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চেয়েছেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য কাজ করছি, বলেন প্রতিমন্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত।
রোববার (৩১ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার জন্য কাজ করছি। আমরা বঙ্গবন্ধুকে না পেলেও আমাদের সৌভাগ্য আমরা শেখ হাসিনার মতো নেত্রী পেয়েছি। ফিলিস্তিনে যখন নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ হচ্ছে সেই হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ অনেক দেশ, অনেক সরকার না করলেও প্রতিবাদ করেছে শেখ হাসিনা এবং তার সরকার।
তিনি আরও বলেন, আজকে যারা ভারতের বিরুদ্ধে কথা বলে তারা কি একবারও ভেবে দেখেছে যে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে সম্পর্ক এমন গভীর সম্পর্ক বিশ্বের আর কোনো দেশের মধ্যে আছে? বিশ্বের কোন দেশ আলোচনার মধ্য দিয়ে অনেক বড় বড় সমস্যার সমাধান করেছে? করেছে ভারত এবং বাংলাদেশ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে আমি দুবাই গিয়েছিলাম। সেখানের একটি ইফতার পার্টিতে আমি গিয়েছি যেখানে ১০ হাজার লোকের বিরাট আয়োজন ছিল। বেশ কয়েকজন ‘শেখ’ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারা যেভাবে শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন তা শুনে আমি অবাক হয়েছি।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গণমাধ্যমের দায়িত্ব হচ্ছে সাদাকে সাদা বলা কালোকে কালো বলা। সাংবাদিকদের অনেক সময় নিজের অনিচ্ছা থাকলেও মালিকপক্ষের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতে হয়। রাজনীতিবিদদের জন্য সাংবাদিকরা সহায়ক। আমি অনেক সময় ভাবি এই মেধাবী সাংবাদিকরা কেন বিসিএস না দিয়ে এই পেশায় নিয়োজিত। তখন মনে হয় একটি পেশাকে ভালোবেসে ফেললে সেখান থেকে বের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, কোনো সংবাদ প্রচার করার আগে সেটা সত্য কিনা তা বিবেচনা করে তা প্রচার করতে হবে, সেটির ইমপ্যাক্ট কি হবে সেটিও বিবেচনা করে তা প্রচার করতে হবে। দেশের কোথাও আগুন লাগলে অনেক টেলিভিশন সেটার লাইভ দিতে ব্যস্ত হয়ে যায়। এই সারাক্ষণ লাইভ দেয়ার কারণে সেই আগুনটা সেখানে থেকে পুরো ১৭ কোটি মানুষের মনে লেগে যায়। যার নেতিবাচক প্রভাব সুদূরপ্রসারী।