বিজিবি প্রধান মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা এখনো হয়তো পশ্চিম পাকিস্তানের পরাধীনতার শিকলে বন্দী হয়ে থাকতাম।
শুক্রবার জাতির পিতার ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সদর দপ্তর পিলখানাস্থ সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ইতিহাস পর্যালোচনা করলে ছোটবেলা থেকেই তাঁর মধ্যে মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, সহানুভূতি ও মহানুভবতা এবং নেতৃত্বের গুণাবলির পরিচয় পাওয়া যায়।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) বিজিবি’র সদর দপ্তরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে পিলখানায় তৎকালীন বিডিআরের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ঐতিহ্যবাহী এই বাহিনীর করণীয় ও দায়িত্ব সম্পর্কে যে সুচিন্তিত নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেটি হৃদয়ে ধারণ করে বিজিবি’র ওপর অর্পিত পবিত্র দায়িত্ব দক্ষতা, সততা, ন্যায়, নীতি ও নিষ্ঠার সাথে পালনের জন্য বিজিবি সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পিলখানাস্থ বিজিবি সদর দপ্তরসহ সারাদেশে বিজিবি’র অন্যান্য সকল ইউনিটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) এর তৃতীয় ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত ভাষণ ও ‘অসমাপ্ত মহাকাব্য’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর বিশেষ আলোচনা করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত সকল অনুষ্ঠানে বিজিবি’র সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবির সৈনিক, সকল অসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।