বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ প্রত্যাশা করেছেন আন্দোলনত শিক্ষকরা। তারা জানান, শিগগিরই প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পেলে আমরা আমরণ অনশনে যাব।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) এর আয়োজনে ১০তম দিনের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বেসরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকরা।
আন্দোলনের বিষয়ে বিটিএ সাধারণ সম্পাদক শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সফল না হওয়ার কারণে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের দাবি জানিয়েছি।
শিগগিরই সাক্ষাতের ব্যবস্থা না হলে আমরা আমরণ অনশনে যাব। আমরা মনে করছি, আমাদের দাবির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আন্তরিক। আমাদের দাবি মেনে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তিনি কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
আন্দোলন স্থগিত করতে ৩টি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে দাবি করে কাওছার বলেন, আমরা আন্দোলনে নামার পর শিক্ষকদের জন্য সুনির্দিষ্টভাবে ৫ শতাংশ প্রণোদনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধান ও শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে চিঠি দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-মাউশি। এতেও আন্দোলনে শিক্ষকদের উপস্থিতি না কমায় গ্রীষ্মের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। ডিসেম্বরে নির্বাচনের কারণ দেখিয়ে এই ছুটি বাতিল করা হয়। অথচ ২০১৮ সালে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলেও সেসময় গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করা হয়নি।
মূলত আন্দোলনকে বন্ধ করার কৌশল হিসেবে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে কোনো কৌশল কাজে দেবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি, থাকব।
সরেজিমনে দেখা যায়, আন্দোলনে অন্যান্য দিনের তুলনায় শিক্ষক উপস্থিতি কমেছে। তবে এদনিও শিক্ষক উপস্থিতির কারণে কদম ফোয়ারা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবমুখী রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ ছিল।
শিক্ষকদের বিভিন্ন শ্লোগান, গান, কবিতা, ছড়া ও আবৃতির মধ্য দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়।
শিক্ষকদের উপস্থিতি কমার বিষয়ে আন্দোলনরত ময়মনসিংহের শিক্ষক আফতাব হোসেন বলেন, সারা দেশ থেকেই শিক্ষকরা এসে কর্মসূচিতে যোগ দিচ্ছেন। পালাক্রমে শিক্ষকরা আন্দোলনে আসছেন, আবার ফিরে যাচ্ছেন। এ কারণে শিক্ষক উপস্থিতি কম-বেশি হতে পারে।
