পেরুর প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট হলেন ডিনা বোলুয়ার্তে। সে দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট, পেদ্রো কাস্তিলোকে জরুরি ভিত্তিতে ইমপিচ করার পরেই বুধবার ক্ষমতায় এসেছেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে কাস্তিলোকে দু’বার ইমপিচ করার চেষ্টা হয়েছিল। বুধবার পেরুর জাতীয় টেলিভিশনে বিরোধী চালিত কংগ্রেসকে ভেঙে দেওয়ার কথা বলেন কাস্তেলো। জাতীয় স্তরে জরুরি অবস্থার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। এর পরেই বিক্ষোভ শুরু হয় সে দেশে।
প্রতিবাদ জানান বহু মন্ত্রী ও সাধারণ মানুষ। নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দেন অনেকেই। জানা গিয়েছে, দু’পক্ষের সমর্থকের মধ্যে মারামারি লেগে যায় পুলিশের সামনেই। এর পরেই জরুরি ভিত্তিতে ইমপিচমেন্ট নির্বাচন করা হয় কংগ্রেসের তরফে। সেখানে তাঁকে ইমপিচ করার পক্ষে ভোট দেন ১০১ জন। এর বিরুদ্ধে ভোট পরে ছ’টি। এই ভোটদানের থেকে বিরত থাকেন ১০ জন।
কাস্তেলোর ইমপিচমেন্টের পরেই ডিনা বোলুয়ার্তেকে প্রেসিডেন্টের পদে বেছে নেওয়া হয়। ২০২৬ পর্যন্ত তিনি সেই পদে থাকার শপথ নিয়েছেন। জানা গিয়েছে, তিনি পেশায় আইনজীবী ছিলেন। দীর্ঘদিন ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি অব আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড সিভিল স্টেটাসে কাজ করেন। ২০২১ সালে ৬০ বছরের বোলুয়ার্তে ‘পেরু লিবরে পার্টি’র হয়ে নির্বাচনে লড়েন। নির্বাচনে জেতার পরে তিনি উপরাষ্ট্রপতির পদে দায়িত্ব নেন। ক্ষমতায় এসে তিনি জানিয়েছেন, ২০২৬ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত কাস্তিলোর ক্ষমতায় থাকার কথা ছিল। তাই সেই সময় পর্যন্ত তিনিও ক্ষমতায় থাকবেন। বলেছেন, ‘‘দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা থেকে বাচিয়ে আনতে আমি কিছুটা সময় আর সুযোগ চাই।’’