বাগেরহাটের পুর্ব-সুন্দরবনে সম্প্রতি আবারও দস্যুতা শুরু হয়েছে। এসব নয়া দস্যুরা সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের আটকে রেখে মুক্তিপন আদায় শুরু করেছে। এ খবর মিডিয়ায় প্রচার পাওয়ায় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহীনি জোর তৎপরতা শুরু করে। তারই অংশ হিসাবে বাগেরহাট পুলিশ বিষেশ অভিযান শুরু করে।
আর এ অভিযান চলাকালে গোপন সুত্রে খবর পেয়ে মোংলা থানা পুলিশ সোমবার ভোররাতে মোংলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন জয়মনির ঘোল এলাকার মিরাগামারী খালে অভিযান চালিয়ে ৩ জলদুস্যুকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলো বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার খুড়িয়াখালী এলাকার মৃত মকবুল ফরাজীর ছেলে মাসুম ফরাজী(৩৫), একই এলাকার আব্বাস কবিরাজের ছেলে হাসান কবিরাজ (৩০) ও বরগুনার পাথরঘাটা চরদুয়ানী গ্রামের মৃত আমীর হোসেন হাওলাদারের ছেলে আলমগীর হোসেন (৫০)।
এদের নিকট থেকে একটি দেশী তৈরী একনলা বন্দুক, ৪ রাউন্ড গুলি, ২ টি রাম দা, ২ টি লোহার রড, একটি নৌকাসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহ্নত অনান্য সরজ্ঞাম উদ্ধারপূর্বক জব্দকরা হয়। এ ঘটনায় বাগেরহাট পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং করেছেন। প্রেস ব্রিফিংকালে পুলিশ সুপার বলেন সুন্দরবনে নদী ও খালে মাছ ও কাকড়া শিকারে যাওয়া জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মুক্তিপন করার ঘটনা প্রচার পাওয়ায় সুন্দরবন দস্যুমুক্ত করতে পুলিশি অভিযান শুরু করা হয়। আর এই অভিযানের অংশ হিসাবে ৩ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় অবৈধ অস্ত্র আইনে মামলা করা হয়েছে।