ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেছেন, ঢাকায় কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পাশাপাশি টার্গেট ছিল পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।
তিনি বলেন, একজন পুলিশ সদস্যকে মারলে দশ হাজার টাকা এবং ছাত্রলীগ কর্মীকে মারলে পাঁচ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন তিনি ।
অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, সম্প্রতি সুলতান নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। তাকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে সুলতান। যুক্তরাজ্য থেকে এ নির্দেশনা এসেছিল। মাঠ পর্যায়ে টোকাইদের দিয়ে এটি বাস্তবায়ন করেছিল বগুড়ার যুবদল নেতা নুরে আলম সিদ্দিকি পিটনের দুলাভাই আব্দুল আজিজ ওরফে সুলতান।
তিনি বলেন, বগুড়ার যুবদল নেতা নূরে আলম সিদ্দিকী যুক্তরাজ্য থেকে নির্দেশনা পান। নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, পুলিশ মারলে ১০ হাজার এবং ছাত্রলীগ মারলে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হবে। পরে এই নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য কাজে লাগান নিজের দুলাভাই আব্দুল আজিজ ওরফে সুলতানকে।
ডিবি প্রধান বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী চক্রটি পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন-হামলা ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে হত্যার পর ঝুলিয়ে রেখেছে। এইটা কি কোনো সভ্য দেশের মানুষের পক্ষে সম্ভব?
হারুন অর রশিদ বলেন, সরকার পতনের আন্দোলন বাস্তবায়নের জন্য গ্রেফতারকৃত আসামি মো. আব্দুল আজিজ সুলতান টোকাই ও ছিন্নমূল শ্রেণির লোকদের দিয়ে একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে মারলে ৫ হাজার টাকা এবং একজন পুলিশ সদস্য মারলে ১০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, তারা ভেবেছিল পুলিশের মনোবল যদি ভেঙে দেওয়া যায় তাহলে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির ষড়যন্ত্র সফল হবে।