পটুয়াখালী পুলিশ লাইনের নারী ব্রাক থেকে তৃষা বিশ্বাস (২২) নামের এক নারী কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও এক কলেজ ছাত্রী আত্নহত্যা করেছে।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) এ ঘটনা দুটো ঘটে।
জানা গেছে, পটুয়াখালী পুলিশ লাইনের নারী ব্রাক থেকে তৃষা বিশ্বাস (২২) নামের এক নারী কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ সকাল ৭ টায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
তৃষা বিশ্বাস মাদারীপুর জেলার ঢাসার থানার পূর্ব কমলাপুর গ্রামের কৃষ্ণ বিশ্বাসের কন্যা। ২০২৩ সালের নভেম্বরে তিনি চাকরিতে যোগদান করেন।
পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) আহমাদ মাইনুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তৃষা বিশ্বাস পারিবারিক কারণে মানসিক বিপর্যস্ত ছিলেন।
একই রুমের তার অপর নারী সহকর্মীদের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, কয়েকদিন আগে ওই নারী কনস্টেবল চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেননি। ময়নাতদন্তের পর মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, পটুয়াখালী সরকারী মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর এক ছাত্রীর আত্ম হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
সকাল ১০ টার দিকে পটুয়াখালী সরকারী মহিলা কলেজ হোস্টলের ২০০১ নং রুমে বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (রোল-২৩৭) ছাত্রী রিয়া মনি আক্তার মিলা ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে আছে দেখে সহপাঠিরা নামিয়ে দ্রুত পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। শিক্ষার্থী রিয়া মনি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজিলার মো. মনিরুল ইসলামের মেয়ে বলে কলেজ শিক্ষকরা জানান।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোদাচ্ছের বিল্লাহ জানান, পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে দশমিনার নাহিয়ান নামক একটি ছেলে জানায় মৃত রিয়া মনি তার স্ত্রী, এ কথায় সন্দেহ হলে অধ্যক্ষ মোদচ্ছের বিল্লাহ পুলিশে খবর দিয়ে নাহিয়ান ছেলেটিকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন বলে জানান তিনি। শিক্ষার্থী রিয়া মনির লাশ ময়না তদন্ত করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে সদর থানার ওসি জানান। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ জনকে আটক করা হয়েছে। রিয়া মনির মৃত্যুতে কলেজে সহপাঠী শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন প্রাথমিক বিশ্লেষণে এ মৃত্যুকে আপাতত আত্মহত্যা বলে মনে করছে।
নিউজফ্ল্যাশ/ এম কে।