ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ মিনিটের ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকারী তানভীর নামে এক নেতার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন শেখ হাসিনা।
ফোনালাপের বিষয়টি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। তবে এখনও এই কল রেকর্ডের সত্যতা যাচাই সম্ভব হয়নি কারও পক্ষেই।
সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ফোনালাপে শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘তিনি দেশের কাছেই আছেন, যাতে চট করে ঢুকে পড়তে পারেন।’
তানভীর নামের ওই নেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমরা যারা নিউইয়র্ক মহানগরে আছি তারা এমদাদ ভাইয়ের নেতৃত্বে মিছিল-মিটিং করতেছি। কিন্তু এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ। কামরাঙ্গীরচর বা কেরানীগঞ্জের সব নেতাকর্মী এলাকার বাইরে।’ এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবার বিরুদ্ধে মার্ডার কেস।’
অনুমতি পেলে তানভীর দেশে গিয়ে নেতাকর্মীদের সহযোগিতা করতে চাইলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তুমি যেখানে আছো, সেখানে বসেই সহায়তা করো।’
তানভীর আইনজীবীদের বিষয়ে পরামর্শ চাইলে শেখ হাসিনা সব আইনজীবীকে অর্গানাইজ হয়ে আদালতে যাতায়াতের কথা বলেন।
তানভীর যে দেশে অবস্থান করছেন সেখানে আঞ্চলিক নির্বাচন চলছে। নির্বাচনী প্রচারণায় নেতাদের সহযোগিতার পাশাপাশি দেশের বিষয়ে জানিয়ে রাখার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
পরে জানা যায়, তানভীর নামের ওই নেতা যুক্তরাষ্ট্র থেকে শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন।
একপর্যায়ে তানভীর জানতে চান, শেখ হাসিনাকে ভারতের গাজিয়াবাদ থেকে দিল্লিতে স্থানান্তর করা হয়েছে কি না? তবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি কিন্তু আমাদের দেশের খুব কাছাকাছি আছি। অত দূরে নাই কাছাকাছি আছি, যাতে আমি চট করে ঢুকে পড়তে পারি।’
তানভীর দলীয় নেতৃত্ব গোছানোর বিষয়ে অনুমতি চাইলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাকে বলেন, ‘এখন দেশে গেলে দেবেনে একখানা মামলা। পরে কিছুই করতে পারবা না। আমরা নামে ১১৩টা মামলা। আমার পরিবারের কেউ বাকি নেই। এ বিষয়ে জাতিসংঘকে জানাতে হবে।’
দেশের অবস্থা খারাপ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশ আবার দারিদ্র্যসীমার নিচে যাচ্ছে। খাবার নাই, সব বন্ধ করে দিছে। ওরা ব্যাংকের টাকা লুটে খাচ্ছে।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্নীতি নিয়ে শেখ হাসিনাকে জড়ানোর বিষয়ে জানালে তিনি বলেন, ‘তাতে কিছু যায় আসে না। মানুষ যদি গাধা হয় আমার কিছু বলার নাই।’