শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ত্রাণ নয় টেঁকসই বাঁধ চাই, জোয়ার-ভাটার সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে আছে তিন শতাধিক পরিবার

ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে পায়রা নদী সংলগ্ন আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের পশুরবুনিয়া এলাকার এক কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে তিন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ওই তিন গ্রামের তিন শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ী,পুকুর, মাছের ঘের ও ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘর ভেঙ্গে গেছে। তারা এখন জোয়ার -ভাটার সঙ্গে যুদ্ধ করে দিনাতিপাত করছে। তাদের দাবী ত্রাণ নয়, টেকসই বাঁধ চাই।

জানাগেছে, ঘুর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে পায়রা নদী সংলগ্ন আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের পশুরবুনিয়া এলাকার এক কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে পানি প্রবেশ করে ঘোপখালী, উত্তর ঘোপখালী ও পশুরবুনিয়া গ্রাম তলিয়ে গেছে। ওই তিন গ্রামের মানুষ পানিতে ভাসছে। তাদের ঘর-বাড়ী ও পুকুর পানিয়ে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। তিন শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ী পানির নিচে রয়েছে। তারা জোয়ার-ভাটার সঙ্গে যুদ্ধ করে জীবন যাপন করছে। তাদের দাবী ত্রাণ নয় টেকসই বাঁধ চাই। অভিযোগ রয়েছে ভাঙ্গণ কবলিত পশুবুনিয়া এলাকায় গত সিডরের পর থেকে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করেনি। দায়সারা বাঁধ নির্মাণ করে দেয়। ওই বাঁধ একটু বন্যা হলেই ভেঙ্গে যায়। প্রতিবছরই ওই এলাকাবাসীর বন্যা সঙ্গে যুদ্ধ করে চলতে হয়। তাই তাদের দাবী নরবড়ে বাঁধ ও ত্রাণ নয় টেকসই বাঁধ চাই।

পশুরবুনিয়া গ্রামের আব্দুর রশিদ তালুকদার, মন্নান ফকির ও শাহিনুর বেগম বলেন, নতুন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে পানিতে সব তলিয়ে গেছে। ঘুণিঝড় সিপরের পর থেকেই পানি উন্নয়ন বোর্ড দায়সারা বাঁধ নির্মাণ করে। ওই বাধ বেশী দিন টিকেনা।

জাফর তালুকদার, আহসান চৌকিদার, মন্নান ফকির, সাইদুর রহমান, নেছার জোমাদ্দার বলেন, বন্যা হলেই প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা ত্রাণ নিয়ে আসেন। দুই দিন পরে আর তাদের দেখা মেলে না। টেকসই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ না থাকায় আমরা সারা বছর জোয়ার-ভাটার সঙ্গে যুদ্ধ করে থাকতে হয়। যদি সরকার টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতো তাহলে আজ এ অবস্থা হতো না। প্রতিবছর পানি উন্নয়ন বোর্ড দায়সারা বাঁধ দেয়। ওই বাঁধ একটু জোয়ার হলেই ভেঙ্গে যায় আর এলাকার তিন গ্রামের মানুষ ভীষণ কষ্ট করি। আমরা ত্রাণ চাইনা। আমরা টেকসই বাঁধ চাই। পরিবার পরিজন নিয়ে ভালো ভাবে বেঁচে থাকতে চাই।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকেীশলী মোঃ রাকিব মিয়া বলেন. পশুরবুনিয়া ভাঙ্গণ কবলিত এলাকায় ইতিমধ্যে প্রকল্প নেয়া হয়েছে। নদী ভাঙ্গণ থেকে ওই এলাকা রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। শুকনো মৌসুমে টেকসই বাঁধ নির্মাণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ