তালতলী উপজেলা ছোটবগী গ্রামের বৃদ্ধ নয়া সিকদার (৬৫) ও তার পরিবারের নয় সদস্যকে ভাতিজা শাহ আলম সিকদার মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃদ্ধ নয়া সিকদার এমন অভিযোগ করেছেন। দ্রæত এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহরের দাবী জানিয়েছেন তিনি।
জানাগেছে, তালতলী উপজেলা ছোটবগী গ্রামের নয়া সিকদার তার ধান খেত রক্ষায় বেড়া দেয়। ওই বেড়া তার ভাইয়ের ছেলে শাহ আলম সিকদার গত ৩ সেপ্টেম্বর ভেঙ্গে ফেলে। এতে চাচা নয়া সিকদার প্রতিবাদ করলে তাকে শাহ আলম সিকদার তার ভাই রাসেল সিকদার ও বাবা রব সিকদার লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে। তাদের মারধরে বৃদ্ধের বাম হাত ও নাকের হাড্ডি ভেঙ্গে যায়। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে শাহ আলম সিকদার তার মাথা কেটে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন এমন অভিযোগ নয়া সিকদারের। ওইদিনই শাহ আলম সিকদার বাদী হয়ে আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আহত নয়া সিকদারসহ তার পরিবারের ৯ সদস্যকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের বিচারক মোঃ ইফতি হাসান ইমরান মামলাটি আমলে নিয়ে তালতলী থানার ওসিকে এজাহার হিসেবে গন্য করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
স্থানীয় লুৎফা ও নিজাম জোমাদ্দার বলেন, শাহ আলম সিকদার, রাসেল সিকদার ও রব সিকদার বৃদ্ধ নয়া সিকদারকে পিটিয়ে জখম করেছে। তারা আরো বলেন, এখন শুনতে পাচ্ছি উল্টো নয়া সিকদার মামলার আসামী।
জামাতা শহীদুল ইসলাম বলেন, আমার বাড়ী বরগুনা। মামলায় যে ঘটনার সময় দেখিয়েছেন ওই সময় আমি আমার বাড়ীতে ছিলাম কিন্তু আমাকেও মামলায় আসামী করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমার ভায়রা মিজানুর রহমান তার বাড়ী গ্যান্ডামারা তাকেও মামলায় আসামী করা হয়েছে। এমনকি একজন নববধুকে তারা এ মামলায় আসামী করেছেন। এ হয়রানীমুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।
বৃদ্ধ নয়া সিকদার বলেন, আমার ভাইয়ের ছেলে শাহ আলম সিকদার ও তার ভাই রাসেল সিকদারসহ ৫-৭ জনে আমার ধান খেতে বেড়া ভেঙ্গে আমাকে মারধর করেছে। এখন নিজেরাই মাথা কেটে আমাকেসহ আমার পরিবারের নয় সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। তিনি আরো বলেন, আমি বৃদ্ধ মানুষ। ঠিকমত চলাফেরা করতে পারি না। এখন পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। এ হয়রানী মুলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান তিনি।
মামলা বাদী শাহ আলম সিকদার বলেন, সত্য ঘটনায়ই আদালতে মামলা করা হয়েছে। কাউকে অহেতুক মামলায় আসামী করা হয়নি।