রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

তথ্যমন্ত্রীর সাথে বিএসআরএফ’র নতুন কমিটির সৌজন্য সাক্ষাৎ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ সচিবালয় বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নবনির্বাচিত কমিটি।

সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তারা। এসময় নবনির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সচিবালয় বিট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিট। সরকারের সাথে জনগণের যোগসূত্র ঘটিয়ে দেয়ার জন্য আপনারা কাজ করেন। সরকারের কোন ভুলত্রুটি থাকলে সেগুলোও আপনাদের মাধ্যমে অনেক সময় উঠে আসে। সেজন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিট। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে যাদেরকে এই বিটে দায়িত্ব দেয়া হয়,তারা মোটামুটি অভিজ্ঞ। সে হিসেবে এখানে যারা কাজ করছেন তারা অনেকের তূলনায় অনেক বেশি অভিজ্ঞ।

তিনি বলেন, আপনাদের কাছে যে অনুরোধ জানাবো। সরকারের অনেক সাফল্য আছে। সেই সাফল্যের কারণে দেশ আজকে বদলে গেছে। স্বল্পোন্নত থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে আমরা ধান-চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। আমাদের সবজি উৎপাদন কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

সরকারের আরও নানা সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এগুলো এমনি-এমনি হয়নি। সরকারের নানা পদক্ষেপ এবং নীতির কারণেই হয়েছে। পরিবর্তন কোন জাদুর কারণে হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুগরি নেতৃত্বের কারণে হয়েছে। সরকার এসব ক্ষেত্রে যে সাফল্য দেখাতে সক্ষম হয়েছে, সেটি মানুষের সামনে তুলে ধরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নবনির্বাচিত কমিটির উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের জন্য শুভকামনা। আমি সবসময় আপনাদের পাশে ছিলাম, এখনো আছি। ভবিষ্যতে যে পরিস্থিতিতেই থাকি না কেন, সাংবাদিকদের সাথে আমি থাকবো।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব। তিনি বলেন, সচিবালয় বিটে কাজ করতে গিয়ে সাংবাদিকরা অনেকে সমস্যার সম্মুখীন হন। এক্ষেত্রে অতীতে আপনাকে (তথ্যমন্ত্রী) আমরা পাশে পেয়েছি। ভবিষ্যতেও এ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন: সহ-সভাপতি এম এ জলিল মুন্না (মুন্না রায়হান), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহদী আজাদ মাসুম, সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন, দপ্তর সম্পাদক, শাহাদাত হোসেন (রাকিব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বিজন কুমার দাস, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক ফারুক আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য ঝর্ণা রায়, আসাদ আল মাহমুদ, উবায়দুল্লাহ বাদল, মিজানুর রহমান চৌধুরী, ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ, রাকিব হাসান, মহসীনুল করিম লেবু।

আমরা কোনোভাবেই ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করি না

এসময় সাম্প্রতিক ইস্যুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দেন তথ্যমন্ত্রী। তার দাবি, সরকার কোনোভাবেই ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে না।

বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করে বিরোধী দলকে দমনের চেষ্টা করছে এবং জনগণের অধিকার হরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়র মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলকে অনুরোধ জানাবো, পেছনে ফিরে তাকানোর জন্য, ওনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন ৫০ লাখ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন। এখন বাংলাদেশে ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এখন গ্রামের গৃহবধু, স্কুলের শিক্ষার্থী, রিক্সাওয়ালা, খেতে কাজ করা ব্যক্তিও ইন্টারনেট ব্যবহার করে। এই ইন্টারনেটকে সার্বজনীন করেছে বর্তমান সরকার।

ড. হাছান বলেন, ২০০৮ সালে আমাদের শ্লোগানই ছিলো ডিজিটাল বাংলাদেশ। কারণ ডিজিটাল বাংলাদেশের অন্যতম লক্ষ ছিল সবার কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য করা। গ্রামে-গ্রামে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেয়া। গ্রামে বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করে এমন অনেক যুবক আছে। আমরা কোনোভাবেই ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করি না বরং সহজলভ্যতার সুযোগ গ্রহণ করে বিএনপি তাদের পেইড এজেন্ডা দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিশদগার, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী থেকে শুরু হরে সরকারদলীয় নেতাদের চরিত্র হনন করছে। তারা তাদের পেইড এজেন্টদের দিয়ে দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে এসব করছে। তারা যে পেইড এজেন্ট নিয়োগ করেছে তা এরইমধ্যে প্রমাণিত। তাদের অডিও ক্লিপ ফাঁসও হয়েছে

মন্ত্রী বলেন, যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বসে সরকারের বিরুদ্ধে, মন্ত্রী এবং সরকারি দলের নেতাদের চরিত্র হনন করে তাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করে তারেক রহমান। সেই বৈঠকের ছবিও আমাদের কাছে আছে। এটা কেবল ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার কারণে করতে পারছে, যা কখনো সমীচিন না। এগুলো ডিজিটাল অপরাধ।

তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ডিজিটাল অরাধীদের পক্ষে সাফাই গাওয়ার জন্য কাল সংবাদ সম্মেলন করছেন। মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উচিৎ সরকারকে ধন্যবাদ জানানো দরকার৷ কারণ তিনি ভিডিও কনফারেন্সে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে মিটিং করেন। সেটা শেখ হাসিনার জন্য হয়েছে। এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানানো দরকার৷

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা চাই বিএনপি পূর্ন শক্তি নিয়ে আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণকরুক। ২০১৮ সালের মতো নয় বরং পূর্ণ শক্তি নিয়ে অংশ নিক।

দেশে নির্বাচন পরিস্থিতি ভালো দাবি করে তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ কেউ নষ্ট করছে কিনা সেটা এখন দেখার বিষয়। কেউ যদি নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় সেটি নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার শামিল। নির্বাচন যে কেউ বর্জন করতে পারে কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার অধিকার কারো নেই।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ