তথ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করেছেন ইইউ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
বুধবার দুপুরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ সফররত ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের তিন সদস্য রিকার্ডো কেলেরি , দিমিত্রা আয়ানো এবং ক্রিস্টিনা ডোস রামোস আলভেস সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদের দপ্তরে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী। আলোচনার বিষয় নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তারা দেশের গণমাধ্যম আমাদের মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। আমরা বলেছি বাংলাদেশের গণমাধ্যম মূলত বেসরকারি। বাংলাদেশ টেলিভিশন আর ৩৫টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল এখন সম্প্রচারে আছে। সাড়ে ১২শ’ দৈনিক পত্রিকা, কয়েক হাজার অনলাইন, এফএম ও কমিউনিটি রেডিও সবই বেসরকারি, বাংলাদেশ বেতার ছাড়া।
সম্প্রচারমন্ত্রী জানান, সমসাময়িক চ্যালেঞ্জগুলো বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর ফলে অনেক সময় যে হানাহানি হয় সে জন্য সেই প্লাটফর্মের যে দায়িত্ব রয়েছে, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এ বছরের গোড়াতে আইন সংশোধন করে বলেছে, প্রত্যেক সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মকে ইউরোপে রেজিস্টার্ড হতে হবে।
আমরা ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ার প্লাটফর্মগুলোকে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এখানে রেজিস্টার্ড হওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বলে আসছি, কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা হয়নি জর্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, সেখানে কোনো গুজব বা বিতর্কিত পোস্ট সরাতে বললেও তারা দেরি করে এবং যদিও সরায় তার হারটা হচ্ছে ১০ শতাংশ, ৯০ শতাংশ সরায় না। এতে রাষ্ট্রে, সমাজে যে হানাহানি তৈরি হয় সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপের দেশগুলোতে যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তারা ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন হয়, আমাদের দেশেও আইন অনুযায়ী তাই হবে, সে বিষয়টি আমি তাদেরকে জানিয়েছি। কিন্তু নির্বাচনের সময় সরকারের রুটিন কাজ করা ছাড়া আর কোন কাজ করার ক্ষমতা থাকে না। সরকারের সমস্ত প্রতিষ্ঠান যেগুলো নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট তাদের সবার চাকরি নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হয়, সেটি আমি তাদের জানিয়েছি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বিরোধী দলকে নির্বাচনে আনা প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে কি না এ প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আসলে এ নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নাই। এটি একমাত্র বিএনপির মাথাব্যথা। আর তারা এসেছে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে, বিরোধী দলকে নির্বাচনে আনার জন্য আসে নাই। তবে আমি তাদেরকে বলেছি, আমরা চাই বিএনপিসহ সমস্ত রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক।’