ইন্ডি জোট ক্ষমতায় এলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? গত কয়েক মাস ধরে এ নিয়ে জল্পনা চলছে। কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে কংগ্রেস সভাপতি…
ইন্ডি জোট ক্ষমতায় এলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? গত কয়েক মাস ধরে এ নিয়ে জল্পনা চলছে। কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী থেকে শুরু করে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে সহ আরও অনেকের নাম নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও ইন্ডি জোটের তরফে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। তবে কংগ্রেসের সভাপতি তথা বর্ষীয়ান নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়ে দিলেন, ইন্ডি জোট ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর পছন্দ রাহুল গান্ধী।
এনডিটিভিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে খাড়গে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাঁর পছন্দ রাহুল গান্ধী। কী কারণে তিনি রাহুলকে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে দেখতে চাইছেন, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন খাড়গে। তাঁর কথায়, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার পছন্দ রাহুল গান্ধী। যুব সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে ওর জনপ্রিয়তা রয়েছে। যিনি দুটি ভারত জোড়ো যাত্রা করতে পারেন, কড়া ভাষায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ ও যোগ্য জবাব দিতে পারেন, তিনি পছন্দের তালিকায় শীর্ষে।
এর আগে কখনও ইন্ডি জোটের প্রধানমন্ত্রী নিয়ে মুখ খোলেননি খাড়গে। গত সপ্তাহে হিমাচল প্রদেশের সিমলায় সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। এতদিন খাড়গে বলে এসেছেন, ইন্ডি জোট জিতলেই প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার বিষয়টি আসবে, সেটা সমস্ত জোটসঙ্গীদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মুখে কিছু না বললেও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুপ্ত বাসনা ইন্ডি জোটের অনেক নেতা-নেত্রীরই রয়েছে। সেই কারণেই বিরোধীদের জোটের সবচেয়ে বড় শরিক কংগ্রেস আগেভাগে এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। কারণ কোনও একটি বিশেষ নাম সামনে আনা হলে জোটে থাকা অন্য দলগুলি অসন্তুষ্ট হতে পারে। সেক্ষেত্রে ভোটের ফলেও তার প্রভাব পড়তে পারে।
এদিকে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইন্ডি জোটের প্রধানমন্ত্রী নিয়ে মুখ খোলেন মোদী। বিহারের এক জনসভা থেকে মোদী বলেন, বিরোধী জোট একবার ক্ষমতায় এলেই প্রধানমন্ত্রীর পদকে কেন্দ্র করে দলগুলির মধ্যে লড়াই শুরু হবেই। ইন্ডি জোট ক্ষমতায় এলে পাঁচ বছরে পাঁচজন প্রধানমন্ত্রী হবেন।
দেশজুড়ে এবার সাত দফায় লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে। ১৯ এপ্রিল, ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে – ছয় দফার ভোট ইতিমধ্যেই সমাপ্ত হয়েছে। সপ্তম ধাপে ১ জুন ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে মোট ৪৩ দিন। আগামী ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।