জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেবে ডিসিরা। কোভিডের সময়ে তারা যেভাবে জনগণের দুয়ারে গিয়ে সেবা দিয়ে এসেছেন এভাবে সবসময় সেবার মান ধরে রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় ও শেষ দিনের অষ্টম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ কথা জানান তিনি।
জনমুখী জনপ্রশাসন গড়ে তোলা বলে মন্তব্য করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ডিসিদের জাতির পিতার আদর্শের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছি। জাতির পিতা বলেছিলেন, মানুষের সাথে মিশে যেতে হবে। যারা সেবা নিতে আসছে তারা তোমাদের ভাই, তোমাদের আত্মীয়। তাদের সম্মান দিয়ে চলতে হবে। ডিসিদের সেভাবেই সেবা দিতে হবে। একজন ডিসির ব্যক্তিত্ব হতে হবে সাবলীল যাতে মানুষ তার দুঃখ-কষ্টের কথা ডিসির সঙ্গে শেয়ার করতে ভয় না পায়।’
ডিসিদের দায়িত্বের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘একজন ডিসির অনেক দায়িত্ব। সেগুলো সঠিকভাবে পালন করতে হবে। বর্তমানে ডিসি অফিসগুলোর লজিস্টিক সাপোর্ট বেশ ভালো। ডিসিরা মাঠ পর্যায়ে নিজেদের এমনভাবে গড়ে তুলবেন যাতে করে মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পেলে দেশগড়ার কাজটা তাদের জন্য সহজ হয়।’
বর্তমানে সারাদেশে ১ হাজার ৭০০ প্রকল্প চালু আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রকল্পগুলো সুন্দরভাবে বাস্তবায়নে ডিসিরা আরও বেশি সম্পৃক্ত হবেন, কাজ করবেন- এমনটাই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তাদের।
বিআরটিএ, ভূমি অফিসে, পাসপোর্ট অফিসসহ সব সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে ডিসিদের দৃষ্টি রাখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছ বলে জানান ফরহাদ হোসেন।
শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিসিরা যাতে ভিজিট করেন সে বিষয়ে তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী। এ ছাড়া ইউএনওদের বাসভবনে কর্মচারীদের সংখ্যা বাড়ানো ও পাহাড়ি অঞ্চলে বেশি শক্তিসম্পন্ন গাড়ি বরাদ্দ নিয়ে ডিসিদের প্রস্তাবের বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একমত বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের তেমন আলোচনা হয়নি। মূলত ডিসিদের জেলা পর্যায়ে কার্যক্রমের সক্ষমতা ও নীতি-নির্দেশনা নিয়েই ছিল আমাদের এ আয়োজন।’