প্রথম স্ত্রী ধনশ্রী বর্মার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর থেকে আরজে মহওয়াশের সঙ্গে প্রেমের জল্পনা শুরু হয়েছে যুজবেন্দ্র চহলের। আইপিএলের মাঝে সেই জল্পনা আরও বেড়েছে। তাঁরা দু’জনেই অবশ্য স্বীকার করেননি যে তাঁদের মধ্যে কোনও সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু খুব একটা রাখঢাকও রাখতে দেখা যাচ্ছে না তাঁদের। এ বার পঞ্জাব কিংসের টিমবাসে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁদের।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলতে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে একসঙ্গে বার হতে দেখা যায় চহল ও মহওয়াশকে। সেখানে বাকি ক্রিকেটারেরা তাঁদের স্ত্রী বা বান্ধবীদের সঙ্গে ছিলেন। হাসিমুখে গল্প করতে করতে পঞ্জাব কিংসের টিমবাসের দিকে এগোন তাঁরা। টিমবাসে উঠে পড়েন মহওয়াশ। নিজের ব্যাগপত্র বাসের নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে চহলও বাসে ওঠেন। এই ঘটনার ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কয়েক দিন আগে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচের সেরা হন চহল। তার পরেই ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ফুলের তোড়া হাতে নিজের একটি ছবি পোস্ট করেন স্পিনার। জানা যায়, মহওয়াশই সেই ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন। কলকাতা-পঞ্জাব ম্যাচের পর সমাজমাধ্যমে চহলের প্রশংসাও করেন মহওয়াশ। তিনি লেখেন, “কী প্রতিভাবান মানুষ। একটা কারণে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক। অসম্ভব!” মহওয়াশ বোঝাতে চেয়েছেন, যে ভাবে কেকেআরকে একার কাঁধে চহল হারিয়েছেন তা সহজ নয়। অসম্ভব কাজকে সম্ভব করেছেন তিনি।
ফুলের তোড়া হাতে চহলের ছবি নিয়ে আলোচনা শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই অবশ্য সেই পোস্ট মুছে ফেলেন চহল। কেন এই কাজ করেন তিনি? অনেকের মতে, মহওয়াশ হয়তো আপত্তি করেছিলেন। হয়তো তাঁরা এখনই সকলকে কিছু জানাতে চান না। চহল আনন্দের বশে ছবি দিয়ে দিয়েছিলেন। পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে মুছে দেন তিনি। তবে তত ক্ষণে সেই পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
ধনশ্রীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হওয়ার আগেই মেটপ্রভাবী মহওয়াশের সঙ্গে চহলের প্রেমের গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। প্রথম বার তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে। দুবাইয়ের মাঠে ভারত বনাম নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচ দেখতে হাজির ছিলেন চহল। তাঁর ঠিক পাশেই বসেছিলেন মহওয়াশ। পরে সমাজমাধ্যমে কিছু ছবিও দিয়েছিলেন মহওয়াশ। সেখানেও তাঁর পাশে ছিলেন চহল। ভারতের জয় উপভোগ করেছিলেন তাঁরা।
আইপিএলে পঞ্জাব বনাম চেন্নাই ম্যাচে গ্যালারিতেও দেখা গিয়েছিল মহওয়াশকে। চহলের জন্য গলা ফাটান তিনি। তবে সমাজমাধ্যমে তাঁদের সম্পর্কের গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছিলেন মহওয়াশ।
তিনি লেখেন, “নেটমাধ্যমে কিছু খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এই সব গুজব দেখে হাসি পায়। বিপরীত লিঙ্গের কোনও মানুষের পাশে যদি আপনি বসে থাকেন, তার মানে কি তাঁর সঙ্গে আপনি প্রেম করছেন? তা হলে একসঙ্গে কত মানুষের সঙ্গে আপনি প্রেম করবেন? আমি দু’-তিন দিন চুপ ছিলাম। কিন্তু এ বার মুখ না খুলে পারলাম না।” চহলও জানিয়েছিলেন, এই ধরনের খবর না ছড়াতে। কিন্তু বার বার এই ধরনের খবরে দু’জনের সম্পর্কের গুঞ্জন বেড়েই চলেছে। তাই হয়তো এ বার আর রাখঢাক রাখতে চাইলেন না তাঁরা।