গৌহাটিতে ভারত বাংলা ফেস্টিভেল অব ফ্রেন্ডশীপ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) ভারতের আসামের রাজধানী গৌহাটি প্রেস ক্লাবে বিশ্ব কবি মঞ্চ, গৌহাটির শাখার উদ্যেগে, ‘ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক একাত্তরের আলোকে’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সম্প্রীতি বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সদস্য সচিব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি ডিভিশন প্রধান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল, গৌহাটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার রুহুল আমিন, বিশ্ব কবি মঞ্চের সভাপতি কবি পুলক কান্তি ধর, অরুনাচল টাইমসের সাবেক সম্পাদক শ্রী রঞ্জিত সিনহা, গৌহাটি মহানগর কবি কাননের সভাপতি কবি কোমলজিৎ কলিতা, বাহুবকের সভাপতি কবি জিতেন পায়েং, অভিনেত্রী শ্রীমতি মিনা রায় মেধী, লেখক শ্রী সচিন দাস, নদী আরু নারীর সভাপতি শ্রী রোনালডো তাইড, কবি বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, পূর্ব-উত্তর হিন্দী সাহিত্য একাডেমির সভাপতি শ্রী রিতা সিং সারজানা, তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. গোমা অধিকারী, সাংবাদিক শ্রী দিপক শর্মা, লেখক শ্রীমতি সুবন্তি দেউরি, শ্রী কাব্যনীল, শ্রীমতি বর্নালী দত্ত, শ্রী জয়তী মালাকার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারত এবং আসামবাসীর অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরন করেন। তারা বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে সাংস্কৃতিক যোগযোগ বিনিময়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যেকার বর্তমান সম্পর্ককে পৃথিবীর যে কোন প্রতিবেশি দেশের জন্য তারা রোল মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বক্তারা বিশ্ব কবি মঞ্চ, গৌহাটি শাখাকে অভিনন্দন জানিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুষ্ঠান আরো বেশি বেশি আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং আসামের সাধারন মানুষের মধ্যে পারস্পরিক সৌহাদ্য এবং সংঝোতা আরো বৃদ্ধি পাবে। গুপেন হাজারিকা যেমন আসাম তথা ভারতের সম্পদ, তেমনি বাংলাদেশেও একই রকম শ্রদ্ধার পাত্র। আসাম এবং বাংলাদেশের মধ্যে এমনি অনেক সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত সাজুজ্য আছে যা একাত্তরে বাংলাদেশের শরনার্থীদের জন্য যেমন আশির্বাদ হিসেবে দেখা দিয়েছিল, তেমনি ভবিষ্যতে এ ধরনের সহযোগীতা অব্যহত থাকলে তা এই অঞ্চলের মানুষের বিকাশেও সহায়ক হবে।