গাজীপুরের বহুল আলোচিত টিএনজেড গ্রুপের পোশাক কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। তাদের এক মাসের পাওনাদি বাবদ মোট ৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। এরইমধ্যে বিচ্ছিন্ন থাকা কারখানার বিদ্যুৎ ও গ্যাস লাইনের সংযোগ দেয়া হয়েছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। শনিবার থেকে কারখানায় উৎপাদন কাজ আবারও শুরু করা হবে।
এদিকে কারখানার চেয়ারম্যান মোঃ হেদায়েতুল হক জানান, শ্রমিক কর্মচারীরা বেতন ভাতা পেয়ে খুবই খুশি হয়েছে। দীর্ঘদিন কারখানা বন্ধ থাকায় কাজ ছাড়াই তাদেরকে বেতনের ওই টাকা দিতে হয়েছে। তবে তিন দিন শ্রমিক আন্দোলনের পর বেতন দিতে পারায় শ্রম ও উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব:) শাখাওয়াত হোসেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব শফিকুজ্জামান ও অতিরিক্ত সচিব সবুর হোসেনের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান। আগামীকাল শনিবার সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে কারখানায় উৎপাদন কার্যক্রম আবারো শুরু করা যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। আর এক মাসের বেতন নির্ধারিত সময় পরিশোধ করা হবে।
এদিকে টিএনজেড গ্রুপের পরিচালক আব্দুল হালিমের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার ওসি (তদন্ত) নন্দ লাল জানান, আজ শুক্রবার থাকায় কাল বা পরশু তাকে রিমান্ডে আনা হবে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের বিজ্ঞ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বেগম লাবনী আক্তার শুনানি শেষে তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা হয়েছে। শ্রমিকদের বেতনের টাকা না দিয়ে ৫ কোটি টাকা প্রতারণা ও আত্মসাতের অভিযোগ এবং শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ ও কারখানা ভাঙচুরের উসকানি দিয়ে জানমাল ও সম্পদের ক্ষতি সাধন, জননিরাপত্তার হুমকি সৃষ্টির অভিযোগে ওই মামলা দুটি হয়েছে।