শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গাজীপুরে নিরাপত্তাহীনতায় দুটি পরিবার, পুলিশ কমিশনারের সহায়তা কামনা

ফাইল ফটো।

গাজীপুরের কাশিমপুরে চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে দুটো নিরীহ পরিবারের লোকজন। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার বরাবরে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

পুলিশ কমিশনারের কাছে দেয়া অভিযোগ ও বাদীর বর্ণনায় জানা যায়, নগরের কাশিমপুরের এনায়েতপুর বাগানবাড়ী এলাকায় ভূক্তভোগী মোহাম্মদ আব্দুল মালেক ও আবুল হোসেন গত ২৮ জুলাই সন্ধ্যায় কথা বলছিলেন। এ সময় বিবাদী মোহাম্মদ শরীফ, বাচ্চু মিয়া, নজরুলসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন সন্ত্রাসী তাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এক পর্যায়ে বিবাদী শরীফ মালেকের কাছে ৭ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আগামী২ সপ্তাহের মধ্যে দাবিকৃত টাকা অথবা জমি লিখে না দিলে ফের হামলা ও অপহরণ করে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে মারমুখী হয়ে ওঠে। এ সময় আব্দুল মালেক ডাক চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হুমকি দাতারা চলে যায়। এ ব্যাপারে কাশিমপুর থানায় সাধারণ ডায়রি করতে গেলে অজ্ঞাত কারণে পুলিশ সাধারণ ডায়েরি নেয় নি। এরপরও ওই চক্রের অব্যাহত হামলা ও প্রাণনাশের হুমকিতে এখন আতঙ্কিত হয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভূক্তভোগী দুটি পরিবারের লোকজন। এ ব্যাপারে ৯ জুলাই ভূক্তভোগী মোহাম্মদ আব্দুল মালেক গাজীপুর মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ভূক্তভোগী আব্দুল মালেক আরো জানান, এলাকার চিহ্নিত মান্নান মিয়া, তৈয়ব আলী আইয়ুব আলী গংদের প্রাণনাশের হুমকির প্রেক্ষিতে গত ১০ জানুয়ারি জীবনের নিরাপত্তার প্রয়োজনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মোকাদ্দমা দায়ের করেন। পিটিশন মামলায় সাক্ষী দেওয়ার কারনে বিগত ২১ জানুয়ারি স্বাক্ষী আবুল হোসেন এবং তানিয়ার বাড়িতে হামলা করে। এসময় হামলাকারীরা বহিরাগত অস্ত্রধারী ৬০ – ৭০ জন সন্ত্রাসীদের নিয়ে হামলা চালিয়ে একই পরিবারের সাতজনকে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় তারা বাড়ি ভাঙচুর ও নগদ টাকা পয়সা সহ মূল্যবান স্বর্ণালংকার ও অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে হামলার শিকার তানিয়া কাশিমপুর থানায় মামলা করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়ে পরে বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে হামলাকারীরা আমাদেরকে হয়রানির জন্য আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোহাম্মদ শরীফ বলেন, আমি কেমন লোক এলাকাবাসী তা জানে, আপনারা যাচাই করেন। অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নিবেন।

থানায় অভিযোগ বা জিডি না নেওয়ার বিষয়ে কাশিমপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সানোয়ার জাহান বলেন, কেউ জিডি বা অভিযোগ নিয়ে আসলে তা অবশ্যই নেওয়ার কথা না নেয়ার কোন সুযোগ নেই। আমার কাছে এই ধরনের কেউ আসেনি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ