আমার কাছে কোয়ান্টিটি নয় বরং কোয়ালিটি চিকিৎসা সেবাই মুখ্য বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ধানমন্ডি ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালে পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন।
সামন্ত লাল সেন বলেন, এক্ষেত্রে আমাদের কোয়ান্টিটি না বাড়িয়ে কোয়ালিটির দিকে নজর দিতে হবে। অ্যান্ডোসকপি, আলট্রাসনোগ্রাফিসহ এসব পরীক্ষা একসঙ্গে ৭০টা না করে, সংখ্যায় কম হলেও যেন মানসম্মতভাবে তা করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ল্যাবএইড হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, মেডিক্যাল চেকআপ রুম, এন্ডোসকপি ও কলোনস্কপি বিভাগ, সিসিইউ বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগ সরজমিনে পরিদর্শন করেন।
এছাড়া রেডিওলজিস্টসহ মেডিকেল কনসালটেন্টদের সঙ্গে চিকিৎসা সেবা পদ্ধতি নিয়ে এবং হাসপাতালে আগত রোগীদের সঙ্গেও মন্ত্রী কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি আরেকটি কথা বলতে চাই যেটা গতকাল আমি এভারকেয়ার হাসপাতালেও বলেছি, প্রতিটি বড় হাসপাতালে যেন গরীব রোগীদের একটা পার্সেন্টেজ থাকে। যাতে গরীব রোগীদের জন্য চিকিৎসা সেবা নেয়াটা সম্ভব হয়।’
এরপর স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিসহ বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করে রোগী এবং ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং ডকুমেন্টশন পদ্ধতি ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা দেখতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করেন।
বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডকুমেন্টেশন ব্যবস্থা ভালো হতে হবে। ঠিকমতো রোগীর ডকুমেন্টেশন নিশ্চিত করা গেলে ভবিষ্যতে কোন সমস্যা দেখা দিলে সেটার সমাধান করা সহজ হয়। এখানকার ডকুমেন্টেশন ব্যবস্থা আমার কাছে ভালো মনে হয়নি। উনাদের প্রতি আমার মেসেজ রোগীর প্রতি আরও যতœশীল হতে হবে, বিলটাও যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে।’
এরআগে সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং ডাক্তার ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুম পরিদর্শন করেন এবং চিকিৎসা সেবার বিভিন্ন দিক নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এসময় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল অনুবিভাগ) মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এনডিসি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।