প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা আমাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে, আমরা তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের পণ্য কিনব না, তাদের কাছ থেকে কোনো কেনাকাটা করব না।
সোমবার (১৫ মে) জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর নিয়ে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভয়ের কিছু নেই, শুধু উন্নয়শীল দেশেই নয়, উন্নত দেশেও খাদ্য সংকট রয়েছে। এক লিটারের বেশি তেল কেনা যাবে না, তিনটার বেশি টমেটো কেনা যাবে না, ছয়টার বেশি ডিম কেনা যাবে না, এ ধরনের অনেক সমস্যা বিশ্বের অনেক দেশে রয়েছে। আমাদের তেমন কোনো সমস্যা নেই।
‘এবারের রোজায় তো কোনো হাহাকার শোনা যায়নি। কেউ কি আসছে, আপনাদের কাছে ভিক্ষা চাইতে? আসেনি। সবাই ইফতারের জন্য এগিয়ে এসেছে। আমাদের দল ও নেতাকর্মীদের এজন্য ধন্যবাদ জানাই।’
র্যাবের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের দিয়ে (র্যাব) আমরা সন্ত্রাস দমন করলাম, জঙ্গিবাদ দমন করলাম। হলি আর্টিজানের ঘটনা বাংলাদেশ একা সামাল দিতে পারবে না বলে অনেকে বলেছিল। কিন্তু আমরা সেটা একা সমাধান করলাম। আমরা সেখান থেকে জীবিতদের উদ্ধার করলাম। এটার পর বাংলাদেশে আর তেমন কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা নজরদারি আরও কিছু ভালো কাজ করেছে। যার ফলে আর তেমন কিছু হয়নি। এরপরও নিষেধাজ্ঞা কেন? সেটাই আমাদের প্রশ্ন।
কেন র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিল তারা। তাই অর্থ মন্ত্রণালয়কে বলেছি, তাদের কাছ থেকে কোনো পণ্য না কিনতে। পরিষ্কার কথা। এখানে ভয়ের কী আছে? যেটা নিয়ে সমস্যা হয় সেটা আমরা উৎপাদন করে সমাধান করতে পারি। আমরা এখন কারও মুখাপেক্ষী না। কোনো কথা নেই, বার্তা নেই; নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখাবে এটা হতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী যেখানে মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যের অভাব, উন্নত দেশেও খাবার কেনা সীমিত করে দেয়া হচ্ছে। যারা বড়লোক তাদের তো অসুবিধা নাই, সাধারণ মানুষের তো অনেক অসুবিধা হচ্ছে। সেদিক থেকে আমরা তো আমাদের মানুষকে প্রণোদনা দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কথা নাই বার্তা নাই, আমাদের নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখাবে, আমরা ভয় নিয়ে বসে থাকব। কেন? আমাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, আমাদের দেশের মানুষই নিজের দেশের বিরুদ্ধে বদনাম করে।’
‘আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। যারা আমাদের সপ্তম নৌ-বহরের ভয় দেখিয়েছিল, আমরা সেটাও পার করে বিজয় অর্জন করেছি। সে কথা ভুললে চলবে না। সে আত্মবিশ্বাসটা থাকতে হবে’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।