গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানার এক এসআইকে থানার মধ্যে লাঞ্চিত করা হয়েছে। গত ১২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে থানার এসআই মোহাম্মদ জিয়াউল হক লাঞ্চনার শিকার হন। এ ঘটনায় জড়িত এলাকার প্রভাবশালী পৌর মেয়রের ভাগ্নে শফিকুল ইসলাম সুজনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে গোপালগঞ্জ বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়। আদালত আসামীদ্বয়ের জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে পাঠান।
থানায় লাঞ্চিত হওয়া এসআই মোহাম্মদ জিয়াউল হকের দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, ১ নং আসামী শফিকুল ইসলাম সুজন পিতা মোজাফ্ফর আহমেদ সাং ডহরপাড়া , ২ নং ওয়ার্ড কোটালীপাড়া পৌরসভা, ২। রাসেল শেখ পিতা: মো আবু তালেব শেখ সাং উনশিয়া, ৭ নং ওয়ার্ড ৯ নং আমতলী ইউনিয়ন উভয় থানা কোটালীপাড়া জেলা গোপালগঞ্জদ্বয়ের বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, নারী শিশু নির্যাতন দমন মামলার এক আসামী তানজিলুর রহমানকে গ্রফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কে আনা হয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক দুপুর ২ টা ২০ মিনিটের সময় কোটালীপাড়া থানা ভবনের নিচতলায় অবস্থিত নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কের পশ্চিম পাশের জানালা দিয়ে ধৃত আসামীর সাথে দীর্ঘ সময় কথা বলাকালে আমি দীর্ঘ সময় কথা বলার কারণ জিজ্ঞাসা করি। এতে আসামীদ্বয় (শফিকুল ইসলাম সুজন, রাসেল শেখ) ক্ষিপ্ত হইয়া আনুমানিক ২ টা ২৪ মিনিটের সময় কোটালীপাড়া থানা ভবনের নিচতলায় অবস্থিতনারী ও শিশু হেল্প পশ্চিম পাশের জানালা ও পরিদর্শক (তদন্ত) এর অফিস রুমের সামনে আমার কর্তব্য কাজে বাধাদানসহ ইচ্ছাকৃতভাবে আমাকে জখম করে। তখন থানার অন্যান্য অফিসার এসে আমাকে উদ্ধার করে আসামী শফিকুল ইসলাম সুজন ও রাসেল শেখকে আটক করে হেফাজতে নেয়। আমার বুকে ও শরীরের বিভিভন্ন স্থানে জখম হয়ে কোটালীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিকৎসা গ্রহন করি। কর্মচারীর কর্তব্য কাজে বাধাদানসহ ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করা অপরাধে আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করতে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে সামন্য বিলম্ব হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, আসামী শফিকুল ইসলাম সুজন (২৫) কোটালীপাড়া পৌরসভার প্রভাবশালী মেয়র কামাল হোসেনেরে ভাগ্নে। গত ১৩ই ফেব্রুয়ারী গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে গোপালগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করেন। বিজ্ঞ বিচারক তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করে। মামলা নং-০৮/২৩, তাং- ১৩/০২/২০২৩।