‘গঙ্গা স্নানে ধুয়ে মুছে যাবে সকল জাগতিক পাপ’ এ বিশ্বাসে পটুয়াখালীর সাগরকন্যা কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাসলীলা। সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম এ ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকেই সমুদ্র সৈকতে ভীড় জমিয়েছে হাজারো নারী পুরুষ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটার শ্রী শ্রী রাধাকৃঞ্চ মন্দিরে ভগবানকে আমন্ত্রন, মঙ্গল ঘট স্থাপন, সন্ধ্যা আড়তি, আলোচনা সভা এবং ভক্তদের প্রসাদ বিতরন করা হবে। রাতভর চলবে সঙ্গীতানুষ্ঠান, ভবগত পাঠ ও মহানামা কীর্তন। শনিবার ভোররাতে পূন্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ রাস উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। তবে পূর্নিমা চলমান থাকায় আজ ভোরে মতুয়া সহ অনেক হিন্দু সম্প্রদায় গঙ্গা স্নান সম্পন্ন করেছেন। সৈকতে আগত পূন্যার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে কাজ করছে বিপুল সংখ্যক আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
খুলনা থেকে আসা পুন্যার্থী বাবু সমরেশ বলেন, এ বছর রাসমেলায় খুব ভাল লাগছে, আমাদের নিরাপত্তার জন্য অনেক প্রশাসন দেখা গেছে। তবে কলাপাড়া -কুয়াকাটা সড়কটি ভাল না, এটা জরুরী মেরামত করা উচিত।
ষ্পীডবোট ব্যবসায়ী মো: বেলাল বলেন, এখনই অনেক লোকের আগমন, প্রতি বছরের চেয়ে এ বছর লোক অনেক বেশি হবে।
হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, শুক্রবার থেকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান৷ দু’দিন ব্যাপী রাস মেলা উপলক্ষে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকের ঢল নেমেছে।
কুয়াকাটা টুরিস্ট পুলিশ জোনের এসপি আবুল কালাম আজাদ জানান, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে আগত পর্যটক ও পন্যার্থিদের জন্য নিরাপত্তা জোরদার করেছি। সর্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
কুয়াকাটা পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. কৌশিক আহমেদ জানান, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শত বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে আমরা ধারণা করছি তিন লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে। কুয়াকাটায় পূণ্যস্নানে আগত পূণ্যার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা, উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও সার্বক্ষণিক মহিপুর থানা পুলিশ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, টুরিস্ট পুলিশ এবং গ্রাম পুলিশসহ প্রায় পাঁচ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।