গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ২০৯ জন বন্দি পালিয়ে গেছে। পালিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জন বন্দি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৭ আগস্ট) বিকেলে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতদের নাম-পরিচয় পরে জানানো হবে বলে জানান ওই জেল কর্মকর্তা। তবে একটি বিশেষ সূত্র থেকে জানা গেছে নিহতারা হলেন- মোঃ জিন্নাহ (২৯), আযলাখ হোসেন (২৭), আফজাল হোসেন (৬৩), স্বপন শেখ কালু (৪৫), রাধেশ্যাম হরিজন (৬৭) ও ইমতিয়াজ পাভেল (২৭)।
সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে থাকা বন্দিরা বিদ্রোহ করে। বিদ্রোহের সময় বন্দিরা কারাগার ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কারারক্ষীরা তাদের বাধা দিলে বন্দিরা কারারক্ষীদের ওপর চড়াও হয়। কারারক্ষীদের মারধর করে বন্দিরা দেয়াল ভেঙে, দেয়াল টপকে, আবার কেউ দেয়ালের সঙ্গে পাইপ লাগিয়ে পালিয়ে যেতে চান। একপর্যায়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে তারা কমান্ডো অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করেন। তবে এরই মধ্যে বন্দিদের মধ্যে ২০৯ জন বন্দি দেয়াল টপকে পালিয়ে গেছে। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীদের গুলিতে ছয়জনের নিহত হয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত করাতে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার পর হেলিকপ্টারে করে এসে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কারাগারের ভেতরে নেমে প্রধান গেটসহ কারাগারের সব গেট নিয়ন্ত্রণে নেয়। এর আগে সেদিন সকালে কারাগারের ভেতরে স্থানীয়রা ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শুনতে পান।
খবর পেয়ে সকাল ১০টার পর কারাবন্দিদের স্বজনরা প্রধান গেটে এসে জড়ো হতে থাকে। জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে তারা সেখানে।