পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এবার সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলেন ইউনিয়ন বিএনপি’র তিন নেতা ও এক সেনা সদস্য। সোমবার (২সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টার দিকে পৌরশহরের এতিমখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর পর গুরুতর আহত অবস্থায় আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করার পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. সোহাগ (৩২) ও ধূলাসার ইউনিয়ন বিএনপি’র ওয়ার্ড সভাপতি নিজাম হাওলাদার (৫৫) কে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার করা হয়। অপর আহত ধূলাসার ইউনিয়ন বিএনপি সম্পাদক মো. শাহজাদা (৫০) ও সেনা সদস্য আবুল বাশার (৪৫) প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেনের সাথে দেখা করে মোটরসাইকেল যোগে ফিরছিলেন ধানখালী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মো. সোহাগ। এসময় এতিমখানা-অফিস মহল্লা সংলগ্ন কালভার্ট এলাকায় একদল সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন সোহাগ। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে আহত হন সোহাগের শশুর ইউনিয়ন বিএনপি’র ওয়ার্ড সভাপতি মো. নিজাম হাওলাদার, ধূলাসার ইউনিয়ন বিএনপি’র সম্পাদক মো. শাহজাদা এবং ছুটিতে বাড়িতে আসা ধানখালী ইউনিয়নের সেনা সদস্য আবুল বাশার।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানায়, আহতদের মধ্যে সোহাগের অবস্থা গুরুতর। তার মাথায় একাধিক কাটা জখম রয়েছে এবং নিজাম হাওলাদারের চোখের নিচে কাটা জখম সহ মাথায় আঘাত রয়েছে। এদের দুই জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। অপর আহত সেনা সদস্যের মুখ মন্ডলে আঘাতের চিহ্ন থাকলেও তিনি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সেবা নেননি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মেহেদী হাসান রনি বলেন, মারামারির ঘটনায় আহত দুই জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল রেফার করা হয়েছে। এদের মধ্যে সোহাগের অবস্থা শঙ্কা জনক।
উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হাজী হুমায়ূন সিকদার বলেন, তুচ্ছ কারণে নিজেদের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে। আহতদের হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এ ঘটনায় দলীয়ভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কলাপাড়া থানার ওসি আলী আহম্মেদ বলেন, ‘এ বিষয়টি আমি অবহিত নই। পক্ষ, বিপক্ষের কেউই আমার কাছে অভিযোগ জানায়নি।’