সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আগামীকাল সোমবারও সারা দেশে বাংলা ব্লকেড পালন করবেন। পাশাপাশি অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ছাত্র ধর্মঘট চলবে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা চার দফা বাদ দিয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করেন। তা হলো- সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যুনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে।
রাত আটটার দিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে অবরোধস্থলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ছাত্র ধর্মঘট চলবে। পাশাপাশি বাংলা ব্লকেড কর্মসূচিও চলবে। সারাদেশে আরও বৃহৎ বাংলা ব্লকেড পালিত হবে। আমরা আজকে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত গিয়েছি, কালকে ফার্মগেট পেরিয়ে যাবে আমাদের ব্লকেড।
তিনি বলেন, আগামীকাল বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে জড়ো হয়ে শাহবাগে ব্লকেড কর্মসূচি পালন করব। সারাদেশে সব স্থানে শিক্ষার্থীরা ব্লকেড পালন করবেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, আমাদের দাবি মেনে নেন না হয় ১০০ পারসেন্ট কোটা দিয়ে দেন। ঘোষণা করে দেন- এটা কোটাধারীদের দেশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ সমন্বয়ক বলেন, আমরা সংবিধান স্বীকৃত বিষয়ে কথা বলছি। সংবিধানে সমতার কথা বলা আছে। কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, আমাদের আদালত দেখিয়ে লাভ নেই। আমরা সংবিধান স্বীকৃত বিষয়ে আন্দোলন করছি।
কোটা বাতিলে চার দফা দাবি বাদ দিয়ে এক দফা দাবি ঘোষণা করে আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা সকল প্রকার নাতিপুতি কোটা-পৌষ্য কোটাকে অযৌক্তিক কোটা মনে করছি। আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হোক। আজকেই আমরা পড়ার টেবিলে ফিরে যাব।