বুধবার, ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

উপজেলা নির্বাচনে কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চসংখ্যক পুলিশ, প্রতি ইউনিয়নে ম্যাজিস্ট্রেট

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল

উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এবার প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ-আনসার মোতায়েন থাকবে। একই সঙ্গে প্রতিটি ইউনিয়নে নিয়োগ দেয়া হবে ম্যাজিস্ট্রেট। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ১৭ থেকে ১৮ জনের দল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে অভিযোগ জানানো যাবে।

সোমবার সচিবালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের সিদ্ধান্তগুলো জানান।

সচিব বলেন, সাধারণ ভোটকেন্দ্রসমূহে নির্ধারিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য আগে যা ছিল, সেটা থেকে যথেষ্ট পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এখন প্রতিটি সেন্টারে অস্ত্রসহ পুলিশ থাকবে তিনজন, অস্ত্রসহ আনসারের পিসি এপিসিসহ থাকবে তিনজন, মোট ছয়জন অস্ত্রধারী সদস্য থাকবেন। প্রতিটি বুথ ম্যানেজমেন্টের জন্য কমপক্ষে ১০ জন আনসার থাকবে।

ছয়টির বেশি বুথ যেখানে আছে সেখানে অতিরিক্ত একজন করে থাকবেন। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ পুলিশ সদস্য থাকবেন চারজন, অস্ত্রসহ আনসার সদস্য থাকবেন তিনজন, মোট ১৭ থেকে ১৮ জন ফোর্স মোতায়েন থাকবে।

এছাড়া ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোররাতেই ব্যালট পেপার পৌঁছে দেয়ার কাজে নিয়োজিত থাকবে। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টন করা হবে; জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার, রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করে সেটা করা হবে। সেভাবেই তারা দায়িত্ব পালন করবে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। প্রতিটি উপজেলায় একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। আচরণবিধি মানা হচ্ছে কি না সেটা দেখভালের জন্য ভোটের দু’দিন আগে ভোটের দিন এবং ভোটের পরে দু’দিন তারা থাকবেন।

এছাড়া আমাদের স্ট্রাইকিং ফোর্স বা মোবাইল ফোর্স থাকবে গড়ে প্রতি পাঁচটি সেন্টারের জন্য একটি আনসার, পুলিশ, বিজিবি র‌্যাব ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে। উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবি’র পরিবর্তে কোস্টগার্ড দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম কেন্দ্রে প্রতিবারের মতো এবারও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ভোটের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং ভোটের উপকরণ পৌঁছে দেয়া হবে। এই পর্যন্ত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী সেরকম কোনো সহিংসতার খবর নেই। তারপরও আমাদের প্রতিটি বাহিনী সতর্ক থাকবে।

সুষ্ঠু ভোটের জন্য যা যা করণীয় তা করা হবে। সব বাহিনীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সমন্বয় সেল হবে জানিয়ে সিনিয়র সচিব বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের আদলে সব ধরনের নির্বাচন সংক্রান্ত কমপ্লেইন ৯৯৯-এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হবে। একটি সফ্‌টওয়্যারের মাধ্যমে এটি ম্যানেজ করা হবে। প্রতিটি অভিযোগ আসার পর থেকে এটি কীভাবে নিষ্পত্তি হলো, কে এটি দেখলো- সবকিছু ট্র্যাকিং থাকবে এবং একটি টিম এখানে বসে দেখভাল করবে। তিনি বলেন, ভোটের দু’দিন আগে, ভোটের দিন, ভোটের পরের দিনসহ মোট চারদিন আমাদের এ সমন্বয় সেল থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ