শুক্রবার, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

উপকুলীয় দুই উপজেলার ২৫ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে, দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি

ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব থেকে রক্ষা থেকে উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী-তালতলী উপজেলার অন্তত ২৫ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। উপজেলা প্রশাসন আশ্রিত মানুষদের শুকনা খাবার ও আলোর ব্যবস্থা করেছেন। রাত যতই বাড়ছে ততই দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়েছে।এদিকে রাতে বন্যা হওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে উপকুলীয় অঞ্চলের মানুষ।

জানাগেছে, ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব আজ (রবিবার) সন্ধ্যা নাগাড় পড়তে শুরু করেছে। প্রভাব শুরুর পর থেকে উপকুলীয় অঞ্চল আমতলী-তালতলী নিন্মাঞ্চলের মানুষজনকে প্রশাসনের সহায়তায় আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। আমতলী উপজেলার ১০১ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১০ হাজার মানুষজন আশ্রয় নিয়েছেন। তালতলী উপজেলার ৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম ও তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপার নেতৃত্বে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থানরত মানুষদের শুকনা খাবার ও আলোর ব্যবস্থা করেছেন। এদিকে রবিবার সকাল থেকেই দুই উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে অন্তত ৫ লক্ষাধীক মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছে। ফলে দুই উপজেলার এক’শ ৫৭ টি সাইক্লোণ সেল্টারে বিদ্যুৎ নেই। ওই সকল সেন্টারে উপজেলা প্রশাসন আলোর ব্যবস্থা করেছেন। অপর দিকে সন্ধ্যার পর থেকে উপকুলীয় অঞ্চলে দমকা বাতাস ও বৃষ্টি বইতে শুরু করেছে। রাত যতই বারছে বাতাস ও বৃষ্টি ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তালতলী উপজেলার ছাতন পাড়া গ্রামের রাখাইর বৃদ্ধাকে সিপিপির যেস্বচ্ছাসেবকরা ও আরেক বৃদ্ধকে স্বজনরা আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাচ্ছে।

গাবতলী এলাকার ইসহাক হাওলাদার ও নজরুল ইসলাম বলেন, রাতের বেলায় বন্যা হওয়ায় উপকুলীয় অঞ্চলের মানুষ খুবই আতঙ্কে আছে। ওই উপকুলীয় অঞ্চলের মানুষগুলো আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।

হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ইতিমধ্যে আমার এলাকার ১০ টি ঘর ভেঙ্গে গেছে। তিনি আরো বলেন, অফিস বাজার সাইক্লোণ সেল্টারে শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেছি।

আমতলী উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবয়ন কর্মকর্তা মুহাম্মদ জামাল হুসাইন বলেন, এ পর্যন্ত অন্তত ১০ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের শুকনা খাবার ও আলোর ব্যবস্থা করেছি।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, নিন্মাঞ্চলের ১৫ হাজার মানুষ সাইক্লোণ সেল্টারে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের শুকনা খাবার ও আলোর ব্যবস্থা করেছি। তিনি আরো বলেন, রেমাল মোকাবেলায় ছেষ্টা করছি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ