রবিবার, ২রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ইসলামপুরে যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিপাকে আখচাষীরা

হঠাৎ করেই যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার যমুনা পাড়ের আখ চাষীরা। নদী ভাঙনে বিলীন হচ্ছে অসংখ্য আখক্ষেত, বসতভিটা আর ফসলি জমি। জিল বাংলা চিনিকলে আখ না নেয়ায় চরম বিপাকে রয়েছেন চাষীরা।

উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের নতুনপাড়া এলাকায় গত কয়েক দিন ধরে যমুনা নদীর ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। হঠাৎ নদীর পানি কমে যাওয়ার পর থেকেই দেখা দেয় ভাঙন। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে একের পর এক ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।

স্থানীয় আখচাষী বাহাজ উদ্দিন আকন্দ বলেন, আমার দুই একর আখক্ষেত সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। একই এলাকার সাইফুল ইসলাম, কামরুল হক ও দুদু মিয়ার প্রায় পাঁচ একর জমিও নদী ভাঙনে হারিয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানান, এই কয়েক দিনে প্রায় ২০ একর আখক্ষেত ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

চাষী সোহানুর বলেন, বছরের পর বছর কষ্ট করে আখ চাষ করলেও এবার হঠাৎ ভাঙনে সব শেষ হয়ে যাচ্ছে। জিল বাংলা চিনিকল কর্তৃপক্ষ এ বছর এখনও আখ সংগ্রহ উদ্বোধন করেননি। বিক্রিও করতে দিচ্ছেন না। ফলে দ্বিগুণ ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আমাদের। আখচাষী সাইফুল ইসলাম বলেন, নদীভাঙনে জমি গেছে, জিল বাংলা চিনিকল কর্তৃপক্ষও নিচ্ছে না আখ। কোথায় যাব। কার কাছে বলব। বুঝে উঠতে পারছি না।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, যমুনা নদীতে প্রতি বছর ভাঙন দেখা দেয়। এবার আমাদের জমি ও ফসল দুটোই যাচ্ছে। ভাঙন প্রতিরোধে প্রশাসন বা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে এখনও কোন কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পুরো গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রোমান হাসান বলেন, ভাঙনের বিষয়টি আমি জেনেছি। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানাব।

দেওয়ানগঞ্জ জিল বাংলা চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তরিকুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত জমির আখগুলো বীজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান বলেন, যমুনা নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই প্রকল্প গ্রহণের জন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

সর্বশেষ

ফেসবুকে যুক্ত থাকুন

এই সম্পর্কিত আরও সংবাদ

সর্বশেষঃ